দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায়, আলোচিত জুলাই বিপ্লবের শহিদ জসীম উদ্দিন হাওলাদারের কন্যা ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সরেজমিনে তদন্ত ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার মূল হোতা মেয়েটির কথিত প্রেমিক ইমরান মুন্সি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ধর্ষণের দিন থেকেই ইমরান পলাতক, এবং আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তার বাবা মালেক মুন্সি পরিবারের সদস্যসহ পলায়ন করেছেন। রোববার সকালে তার বাড়িতে গিয়ে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুক্তভোগী মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ইমরানের। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ঘটনার মাসখানেক আগে মেয়েটির নানা বাড়ির পাশে তাদের আটক করা হয়, পরে ইমরানের বাবা এসে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বায়েজিদ হোসেন জানান, ঘটনার দুইদিন আগেও ইমরানকে মেয়েটির সাথে দেখা করতে দেখা গেছে। ঘটনার দিন ইমরান মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে স্থানীয় সাকিব ও সিফাত তা দেখে ফেলে। মেয়েটির নানা বাড়ির রাসেল নামে এক যুবক বলেন, ইমরানকে মেয়েটির বসতঘরের পেছন থেকে আটকের পরও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইমরানের বাবা মালেক মুন্সি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এবং বিএনপি সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এলাকাবাসী মুখ খুলতে ভয় পায়। মালেক মুন্সি স্বীকার করেছেন, তার ছেলে ইমরানের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এলাকাবাসীর দাবি, ইমরান মুন্সির বিয়েতে অস্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে লামিয়া।
তারা ইমরানকে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন। পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাজিদুল ইসলাম সজল জানান, ধর্ষণের মামলায় সিফাত মুন্সি ও সাকিব মুন্সিকে আসামি করা হলেও, ইমরান মুন্সির নাম বাদ ছিল প্রেমের সম্পর্কের কারণে। তদন্তে ইমরানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.