ভেড়ামারা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের বামুনপাড়াস্থ একটি শো- রুমে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে দুটি পক্ষ।
এ সময় দুটি পক্ষই একে অপরকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
ভুক্তভোগী মেজবাউর রহমান সংবাদ সম্মেলন করেন শনিবার বেলা তিনটার সময়। অপরদিকে বিএনপি নেতা ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জানবার হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেন একই দিন রাত আটটার সময়। তিনি দাবি করেন,উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছেন। এই হামলার সাথে তিনি ও তার পরিবার কোনোভাবেই জড়িত নয়।
মেজবাউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন,গত শুক্রবার রাত ৯ টায় তার বামুনপাড়াস্থ শো-রুমে রীতিমত তান্ডব চালিয়ে নগদ ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা লুটসহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে একদল সন্ত্রাসী। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলাও করতে গেলেও প্রাননাশের হুমকি দেওয়া হয় ভুক্তভোগীর পরিবারকে। মেজবাউর রহমান এই ভাংচুর, লুটপাট সহ নানা অভিযোগ আনেন চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা জানবার হোসেনের বিরুদ্ধে।এ সময় তিনি দাবী করেন, জানবার চেয়ারম্যানের সরাসরি নেতৃত্বে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করা হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই তার নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র, রামদা, হাসুয়া, লোহার পাইপ, রড, হাতুড়ি, হকিষ্টিক, কাঠের বাটাম ও লাঠি-সোঠা নিয়ে শো রুমে হামলা চালায়।
এসময় ৭টি নতুন ফ্রিজ, ৬টি ড্রেসিং টেবিল, ৩টি আলমারি, ৪টি ওয়ার-ড্রপ, ৫টি কাঠের খাটসহ অন্যান্য সকল কিছু ভাংচুর করে। তারা ১০টি এলইডি টেলিভিশন নিয়ে যায়।এসময় ড্রয়ারে থাকা নগদ ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের জীবনের এবং পরিবারের নিরাপত্তা দাবী করেন প্রশাসনের কাছে। এসময় মেজবাহুর রহমান’র পাশে রক্তাক্ত জখম আশরাফুল ইসলাম ও বাবুল মাষ্টার, এই দুই ভাই উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে জানবার হোসেন বলেন আমি চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের দুইবার সম্মানের সহিত চেয়ারম্যানি করেছি। কোন প্রকার অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় নাই, এমন কি নিজেও কোন অন্যায় করি নাই।আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরও বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে যা সম্পূন্ন ভিত্তিহীন। গতকাল শুক্রবার ২৫শে এপ্রিল রাত ৯ টায় ভেড়ামারা বাজার থেকে আমি এবং আমার তিন ভাতিজি রুবেল, ঝন্টু ও রিন্টু বাড়ীতে আসার পথে মেজবাউর, আশু, বকুল মাস্টার, ও হাববুল্লাহ আমাদের পথ গতিরোধ করে। অকথ্য ভাষাই গালাগালি করে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করতে আসে। সে সময় আমার সাথে থাকা ভাতিজি রুবেল ও ঝন্টু নিষেধ করতে গেলে তারা লাঠি, লোহার পাইপ, হাতুড়ি ও বাটাম দিয়ে নিলা ফোলা যন্ত্রণাদায় আহত করে। পরবর্তীতে তাদের চিকিৎসা প্রদান করা হয় ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এমন অবস্থানয় ঐ এলাকার ভাংচুরের শব্দ ও বোমের আওয়াজ শুনতে পাই। যেহেতু ঐ এলাকায় দুটি পক্ষের ভেতর অনেকদিন যাবত শত্রুতা চলে আসছে। হয়তো এই সুযোগে অন্য কোন পক্ষ ফাইদা লুটেছে। এই ভাঙচুর ও তথাকথিত লুটপাটের সাথে আমি এবং আমার ভাতিজিরা কোনভাবে জড়িত নয়। আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচিক্রমহল আমার নামে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারে যুক্ত রয়েছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.