ভেড়ামারায় কথা কাটাকাটির জেরে শো-রুমে ভাঙচুর ও লুটপাট


ভেড়ামারা (উপজেলা) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কথা কাটাকাটির জেরে সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের বামনপাড়ার একটি শো রুমে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। নগদ অর্থ লুটপাটসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগী মেজবাউর রহমান।আহত হয়েছেন মেজবাউর রহমানের ছোট ভাই আশরাফুল আলম। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গতকাল শুক্রবার ২৫শে এপ্রিল, রাত সাড়ে নয়টায় উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের বামুনপাড়াস্থ শোরুমে ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শো রুমের মালিক চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সেক্রেটারি ব্যবসায়ী মেজবাউর রহমান জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত সাবেক দুই বারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জানবার হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটি জেরে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে তিনি তার বামনপারাস্ত শোরুমে হামলা করেন।
এ সময় হামলায় শোরুমে থাকা সাতটি ফ্রিজ, বেশ কয়েকটি ওয়াল শোকেস, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল,আলমারি ও ওয়ারড্রব ভাঙ্গা হয়। এ সময় প্রায় ১০ টি এলইডি টিভি এবং নগদ ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা এ সময় শোরুমের সামনের গ্লাস,শাটার দরজা ভাঙচুর করে।হামলায় বাধা দিতে গেলে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই, আশরাফুর আলমকে বেধড়ক পিটিয়ে ও রক্তাক্ত জখম করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় ভুক্তভোগী দাবি করেন তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।রাতেই তিনি বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জানবার হোসেন বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা।তারা নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের যে ক্লিন ইমেজ আর জনপ্রিয়তা আছে সেটা নষ্ট করানোর জন্যই এটা তাদের একটি নাটক।
সম্ভবত আমার জনপ্রিয়তা ঈশ্বর্বিত হয়েই এটা তাদের একটি পূর্ব পরিকল্পনা। প্রথমে তারা আমাকেই এবং আমার ভাগ ভাতিজা ঝন্টু কে বারবার মারার চেষ্টা করে, কৌশলে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসি।এরপর তারা ভীত সন্তুষ্ট হয়ে নিজেরাই এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। পরবর্তীতে এই দোষ আমাদের উপরে চাপিয়ে এখন রাজনীতিকভাবে ফায়দা নিতে চাচ্ছে। পূর্বেও তারা বেশ কিছু জমি দখল করে মানুষকে বাড়ি ছাড়া করেছে। আমি সর্বদা ন্যায় বিচার করেছি বলেই আমার প্রতি তাদের রাগ। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনর্চাজ শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, সংবাদটি শোনার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, জমি সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান জানবার হোসেন ও মেজবাউর রহমানের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়।
মেজবাউর রহমান জানবার হোসেনকে দালাল বললে ক্ষিপ্ত হয়ে যান জানবার হোসেন। তার সমর্থকরা শোরুমের কাছে আসলে প্রথমে তাদেরকে আক্রমণ করা হয়। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা এসে এসে শোরম ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় এখনো অভিযোগ আসেনি। তবে যে পক্ষই অভিযোগ করুক আমরা তা গ্রহণ করব। পরবর্তীতে অনুসন্ধানের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।