বিদেশে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মূলহোতা নওগাঁয় গ্রেপ্তার


সুবীর দাস, নওগাঁ প্রতিনিধি: ইতালি পাঠানোর প্রলোভনে লিবিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ২৭ জন বাংলাদেশিকে জিম্মি করে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়কারী মানবপাচার চক্রের মূলহোতা জাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টায় র্যাব-৫ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার সিংগারা পাড়া গ্রাম থেকে জাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।জাহিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তিউনিশিয়া ও লিবিয়ায় অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন আঙুর বাগান ও বাজারের ভিডিও প্রচার করে নিজেকে ইতালিতে অবস্থানরত বলে পরিচয় দিতেন। কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা ইয়াকুব আলী সেই ভিডিও দেখে ইতালি যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে জাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
জাহিদ ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে ইয়াকুবকে ইতালি পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভন দেখান। ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে ইয়াকুবসহ ২৭ জনকে প্রথমে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নাইজার হয়ে সড়কপথে আলজেরিয়ায় পৌঁছালে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে।২১ দিন কারাভোগের পর তারা মুক্তি পেয়ে তিউনিশিয়া হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছান। সেখানে একটি বাড়িতে জাহিদের নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের একটি চক্র তাদের জিম্মি করে। এরপর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।এই ঘটনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় জিম্মিদের উদ্ধার করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। পরে চলতি বছরের শুরুতে ইয়াকুব আলী কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেন। এদিকে একই সময়ে দেশে ফিরে আসেন জাহিদ হোসেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫ তাকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব জানিয়েছে, পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে জাহিদকে কুড়িগ্রাম সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।