চীনের অর্থায়নে ১০০০ শয্যার হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবিতে সাদুল্লাপুরে মানববন্ধন


গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার বিশেষায়িত আধুনিক হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবিতে সাদুল্লাপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টায় সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী এন্ড ক্লাবের সামনে উপজেলার প্রধান সড়কে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ আজমী, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ছামছুল হাসান ছামছুল ও সদস্য সচিব আব্দুস ছালাম মিয়া, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম, সাদুল্লাপুর গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল আলম, উপজেলা বনিক সমিতির সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন, ভুমিহীন নেতা কামরুল ইসলাম, শিক্ষক ফজলুল কাফী মাসুম,ধাপেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপি নেতা সাজ্জাত হোসেন পল্টন ।
জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক বলেন, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে অবহেলিত জনপদের নাম গাইবান্ধা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও গাইবান্ধাবাসী আধুনিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জেলার ২৬ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য রয়েছে একমাত্র জেনারেল হাসপাতাল। সেটিও এখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তিস্তা ও বহ্মপুত্রসহ নদ-নদী বেষ্টিত ১৬৫টি চর ও দ্বীপচরের মানুষসহ জেলাবাসীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হয় প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরের বগুড়া কিংবা রংপুর। তিনি আরও বলেন, এই হাসপাতাল নির্মাণ করার জন্য গাইবান্ধা সদরের রামচন্দ্রপুর কিংবা গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন সাকোয়া ব্রীজ এলাকাসহ জেলায় যথেষ্ট খাস জায়গা রয়েছে। এখানে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রীর হাসপাতালটি নির্মিত হলে বৃহত্তর রংপুরের মানুষ উপকৃত হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।