গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামের মৃত মো: নিজামুল হক বিশ্বাসের দ্বিতীয় পুত্র এমামুল হক বিশ্বাসের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় তার আপন ভাই ও সাথে তার একদল সন্ত্রাসী বাহিনী। শুধু ভাঙচুর ও লুটপাট করে ক্ষান্ত হয়নি, এমামুল হকের সাথে তার ভাইদের দেখা হলেই নানা রকমের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়। এমামুল হক পেশায় একজন সাংবাদিক। দৈনিক চৌকস পত্রিকার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছে। জীবনের ভয়ে পৈত্রিক ভিটা ছেড়ে এমামুল হক ও তার ভাই মাহমুদুল হক গোপালগঞ্জ এসে জীবন বাঁচাতে ভাড়া বাসায় থাকেন। সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এমামুল হকের মাতা নুরুন্নাহার বেগম বলেন মাহফুজের ভয়ে আমার এক ছেলে মাহমুদুল হক বাগেরহাটে থাকে। আরেক ছেলে এমামুল হক গোপালগঞ্জ সদরে থাকে। আরেক ছেলে মামুনুল হক কোথায় আছে আমি জানিনা।
লোকমুখে শুনি সে জেলখানায় আছে। আমার ছেলে মাহফুজুল হকের ইদানিং টাকা-পয়সা হওয়ার কারনে তার ভাই ব্রাদারসহ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় । জীবন বাঁচানোর তাগিদে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে এখন আশ্রয় নিয়েছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি,আমার ছেলে মাহফুজুল হক বিশ্বাসকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। আমার তিনটি সহজ সরল ছেলে এমামুল, মাহমুদুল,মামুনুলকে নিয়ে যাতে আমার স্বামীর পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করতে পারি সেই ব্যবস্থা করা হোক।
সাক্ষাৎকারে মাহমুদের স্ত্রী জলি বেগম বলেন আনুমানিক তিন মাস আগে সন্ধ্যা ৭টার সময় ২০ থেকে ২৫ জন অতর্কিত হামলা চালায় আমার পরিবারের উপর ও বসতবাড়িতে ভাঙচুর করে। আমরা মাহফুজের ভয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এমনকি টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ করতেও সাহস পাইনি। এ ব্যপারে মাহফুজুল বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি বলেন, আমার মা যা কিছু বলেছে তা সবই মিথ্যা কথা।উল্টো আমার ভাইয়েরাই আমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.