আমানুল্লাহ আসিফ, শেরপুর প্রতিনিধি: ইতিমধ্যে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বালুমহাল ইজারা বাতিল করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবুও থামছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। বালু খেকোরা যেন নদী গ্রাসের শপথ নিয়েছে। তবে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন স্থানে পরিচালনা করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেল, জরিমানা, জব্দ, ধ্বংসে বালু উত্তোলনের মাত্রা অনেকটাই কমে এসেছে। ১৬ এপ্রিল বুধবার অবৈধ বালু উত্তোলনে জরিত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২০ টি ড্রেজার মেশিন অপসারণ ও ১৮ টি বালুর মাচা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এছাড়াও অসংখ্য পাইপ ও বালু উত্তোলনে সরঞ্জাম অপসারণ এবং বিভিন্ন পয়েন্টে সচেতনতামূলক ব্যানার স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী উপজেলার ভোগাই নদীর গোবিন্দনগর, ছয়আনী পাড়া, চারআনী পাড়া, বালুয়াকান্দা বাজার, রাবার ড্যাম ও শিমুলতলা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ও টহল টিম পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ববি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ, ব্যাটলিয়ন আনসার, ইউএনও ও এসি ল্যান্ড অফিসের স্টাফ এবং স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযানে অংশ নেন। এছাড়াও নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা এবং শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবী টিম এই অভিযানে সহায়তা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন জনস্বার্থে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সবাই সহযোগিতা করলে খুব দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.