সংবাদের আলো ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শিশুর কান্না শোনে অতি উৎসাহী জনতা ছেলেধরা সন্দেহে শিশুর সঙ্গে থাকা বাবাকে বেধড়ক মারধর করেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়নের তাতারকান্দা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত সোহেল মিয়াকে (৩০) পুলিশ উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে। আহত সোহেল মিয়া কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া সওদাগর পাড়ার জজ মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রীর খোঁজে নেমে এমন বিপাকে পড়েন। পুলিশ জানায়, প্রায় ১০ বছর আগে সোহেল তার প্রতিবেশী লালন মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তার সংসারে সজিব (৮), লাইসা আক্তার (৩) এবং ৭ মাসের আরেকটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
ঘটনার সময় তিনি তিন বছর বয়সী শিশু সন্তান লাইসাকে নিয়ে অটোরিকশাযোগে আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। পরে শিশুটি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে অটোরিকশার গতিরোধ করে তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাদের দুজনকে নিয়ে যায়। সোহেলের প্রতিবেশীরা জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকে। ঝগড়া করে তার স্ত্রী সাবিনা প্রায়ই বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়র বাসায় আশ্রয় নেন। আগে তার নৈতিক সমস্যা থাকলেও এখন সোহেল ভালো হওয়ার চেষ্টা করছেন। ফেরি করে বিভিন্ন এলাকায় প্লাস্টিকের মালামাল বিক্রি করেন তিনি।
কুলিয়ারচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শুভ আহমেদ বলেন, উদ্ধারের পর সোহেলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সোহেলের স্ত্রী কোলের সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় ভৈরবে তার এক আত্মীয়র বাসায় গিয়েছিলেন স্ত্রীর খোঁজে। এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোহেল ও তার মেয়ে লাইসাকে রাত ৯টার দিকে জিডি মূলে তার মা, বাবা ও ভাই-বোনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকজন ভুল বুঝে তাকে মারধর করেছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.