জামায়াতে ইসলামীর ছায়াতলে এখন জনমানুষের গণজোয়ার শুরু হয়েছে। আগামীর সমাজ হবে ইসলামী সমাজ।-রাঙামাটি জেল আমির।


মেহেরাজ হোসেন সুজন, রাঙামাটি প্রতিনিধি: সততা ও দেশপ্রেমে যারা দিল প্রান, ঈদ উৎসবে তারা চির অম্লান এই শ্লোগানে দীর্ঘ ১৬ বছর পর রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ই এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪ টায় নানিয়ারচর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী অফিস কক্ষে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল আলীম, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন এডভোকেট মোঃ হারুন অর রশীদ, জেলা ও কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
সভাপতিত্ব করেন মাওলানা জুলফিকার আলী, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, নানিয়ারচর উপজেলা।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন এই ঈদ পুনর্মিলনী এর আগেও আমরা করেছি তবে আওয়ামী স্বৈরশাসনের আমলে প্রকাশ্যে করার সুযোগ হয়নি।তারা আমাদের প্রত্যেকটি কাজে বাধা দিয়েছিল।আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শোকর আজকের এই দিনে আমরা একটি মুক্ত পরিবেশ পেয়েছি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল আলীম বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছায়াতলে এখন জনমানুষের গণজোয়ার শুরু হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, এই গণজোয়ার আগামী দিনে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে তুলবে।
জামায়াতে ইসলামী শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি আদর্শিক একটি আন্দোলন, যার লক্ষ্য আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থা কায়েম করা।” বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, “বর্তমানে আমরা আর মক্কী জীবনের গোপন পর্যায়ে নেই, বরং এখন মাদানী জীবনের প্রকাশ্য দাওয়াতি পর্বে প্রবেশ করেছি। আজকের এই ঈদ পুনর্মিলনী তারই একটি স্পষ্ট উদাহরণ। এটি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আয়োজন সম্ভব হয়েছে তাঁদের আত্মত্যাগের ফলেই, যাঁরা জুলাই বিপ্লবসহ স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে জীবন দিয়েছিলেন। আমরা দোয়া করি—আল্লাহ যেন তাঁদের শাহাদাত কবুল করে নেন।”
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।