গাছ কাটা নিয়ে বিরোধ, দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা


নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে জেরে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। নিহত দুই ব্যক্তি সম্পর্কে চাচাতো ভাই। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুইজন হলেন, শরিফুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর চাচাতো ভাই আইজুল ইসলাম (৩৫)। এদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই আজ বেলা ১১টার দিকে মারা গেছেন। আর আইজুলকে আহত অবস্থায় রাজশাহী নেওয়ার পথে দুপুর ২টার দিকে মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন, নিহত শরিফুলের ছোট ভাই ময়নুল হক (২৫), চাচা রেজাউল ইসলাম (৭০), প্রতিবেশি শহিদুল ইসলাম (৪০) ও আনারুল (৩০)। স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরিফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবশী কাশেম হাজী, তাঁর ছেলে লাল চান ও আজিজুরের বসতভিটার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ সেই জমিতে বেশ কিছু মেহগনি গাছ লাগানো আছে। গতকাল বুধবার বিরোধপূর্ণ সেই জমিতে লাগানো একটি মেহগনি গাছ কাটেন শরিফুল। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনার জেরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রতিপক্ষ লাল চান, তাঁর আজিজার রহমান, শফিকুল, মুক্তার ও তাঁদের লোকজ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে শরিফুলের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই শরিফুলের মৃত্যু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের ঘটনায় শরিফুলের চাচাতো ভাই আইজুল, চাচা রেজাউল, শরিফুলের ছোট ভাই ময়নুলসহ অন্তত নয়জন গুরুত্বর আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় রাজশাহী নেওয়ার পথে আহত আইজুল ইসলাম মারা যান বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া আহতদের মধ্যে তিনজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পাঁচজন নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ ছিল। সর্বশেষ বিরোধপূর্ণ সেই জমি থেকে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরেকজনকে আহত অবস্থায় রাজশাহীতে নেওয়ার পথে মারা গেছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে তিনজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ও পাঁচজন নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক রয়েছেন। দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।