রয়েল দত্ত, রাউজান প্রতিনিধি: ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা, মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস ধ্বংস ও গণহত্যার ঘটনায় ক্ষোভ-নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে রাউজানে।সোমবার (৭ এপ্রিল) রাউজান উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণাংশে বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে পৃথক ভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশ, ছাত্রশিবির, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা, ছাত্রসেনা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।বিকাল ৫ টায় রাউজান উপজেলার মুন্সির ঘাটা হতে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও অংগ সংগঠনে আয়োজনে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা ও থানা সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মুন্সির ঘাটায় এসে একটি প্রতিবাদ ও নিন্দা সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচীর শেষ হয়।
এতে জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশ রাউজান উপজেলার আমির শাহজাহান মঞ্জুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রিদুয়ান শাহ, উত্তর জেলার বায়তুল মাল সেক্রেটারি আব্দুল হামিদ চৌং,ছাত্র শিবিরের সভাপতি তৌহিদ হোসেন,শফি শিকাদর, আবুল কাশেম, মাওলানা ফরিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমানসহ আরো অনেকেই।এদিকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ছাত্রসেনা, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশের আয়োজনে রাউজান উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণাংশে পৃথকভাবে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল ৪ টার দিকে পাহাড়তলী চৌমুহনী হতে তাদের একটি বিক্ষোভ মিছিল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের চুয়েট গেইট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পাহাড়তলী চৌমুহনী চত্বরে এসে এক প্রতিবাদ সভার মধ্যদিয়ে শেষ হয়।এতে উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি অধ্যক্ষ ইলিয়াছ নুরীর সভাপতিত্বে ও ছাত্রসেনার সভাপতি কাজী কায়েছ উদ্দিন ও কাজী তাজুল ইসলাম আসিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আল্লামা আবু মোস্তাক আলকাদেরী, মাওলানা জিল্লুর রহমান হাবীবি, শামসুল আলম হেলালী, মাওলানা আইয়ুব বদরী, আমান উল্লাহ আমান, মাওলানা ফজল আকবর, মাওলানা নেজাম উদ্দিন তৈয়বী, শওকত হোসেন রেজবী, কাজী শওকত উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম নেজামী, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, কে.এম আজাদ রানা, রবিউল হোসাইন সুমনসহ আরো অনেকেই।
এছাড়াও একইদিন সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ছাত্রসেনার আয়োজনে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের মুন্সির ঘাটা হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল জলিল নগর পর্যন্ত প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।উভয় প্রতিবাদ সভায় ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলের কাপুরুষোচিত ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চালানো বর্বরতা বন্ধের দাবি জানানো হয়।