শেরপুরে ২ ইউএনওসহ সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা


নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং একই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। শেরপুর জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদুল হক আধার বলেন, “চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের মাধ্যমে বালু ক্রয় করা হয়েছিল। ৯ মাস অতিবাহিত হলেও ইউএনও বালু বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। সাবেক ইউএনও এই বালু হস্তান্তরের জন্য ৬ লাখ টাকা চান। তিনি চলে গেলে বর্তমান ইউএনও এবং এসিল্যান্ড একই দাবি করেন। মামলা দায়েরের পর আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।” মামলার বাদী গোলাপ হোসেন বলেন, “শুরুতেই আমার কাছে টাকা দাবি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ৬ লাখ টাকা চেয়েছে। আমি অপারগতা প্রকাশ করার পরেই আমাকে আদালতে পাঠিয়েছে। বলেছে, আপনার বালু আদালত থেকে নেন। আমি দেব না। আমি ন্যায় বিচার চাই।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বর্তমান জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুইটি চিঠি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে পড়তে বলে কল কেটে দেন। পরে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার চিঠিতে বালু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। নালিতাবাড়ির বর্তমান ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি বলেন, “বিষয়টা আমার সময়কারের নয়, ওই সময় ইজারাদারের সাত দিনের মধ্যে বালু নিজ উদ্যোগে অপসারণ করে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে, তিনি করেননি।
চাঁদাবাজির বিষয়ে আমি অবগত নই।” সোমবার (৭ এপ্রিল) গোলাপ হোসেন নামে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার এক ব্যবসায়ী শেরপুর আদালতের নালিতাবাড়ীর সিআর আমলী আদালতে মামলাটি করেন। বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিবাদীরা হলেন- বকশীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মাসুদ রানা, নালিতাবাড়ী উপজেলার ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিছুর রহমান। মাসুদ রানা আগে নালিতাবাড়ী উপজেলার ইউএনও ছিলেন।



সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।