আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে ভাংচুর ও আগুন, আহত ৭


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলের আজিমনগর ইউনিয়নের বসন্তপুরে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে ভাংচুর ও আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগুন দেয়ার ঘটনায় আগুনে নেভাতে গেলে ওয়ার্ড বিএনপি নেতাসহ কয়েকজনকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বেলা এগারোটার দিকে উপজেলার চরাঞ্চলের আজিমনগর ইউনিয়নের বসন্তপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান হরিরামপুর থানা ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান। হামলায় আহতরা হলেন, বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি আফজাল মৃধা (৬৭), একই এলাকার ফারুক (৪৭), নুর হাফেজ (২৫) সহ কয়েকজন। আহতদের মধ্যে চারজনকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসা হয়।পরে ফারুক ও নুর হাফিজের অবস্থা গুরুতর হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আর দুজনকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা অভিযোগ করেন, আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর শিকদার, শামসুদ্দিন শিকদার ও ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের নেতৃত্বে ইউনিয়ন জামাতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও তার ভাই আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে হামলা ও আগুন দেয়া হয়। প্রতিবেশিসহ বিএনপির কয়েকজন আগুন নেভাতে গেলে দেশিয় অস্ত্র চাপাতি, কুরাল দিয়ে কোপ দেয় ও মারধর করে। হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসাধীন আফজাল মৃধা বলেন, আমি বিএনপি করলে কি হবে, জাহাঙ্গীর শিকদার, শামসুদ্দিন শিকদার ও তাদের লোকজন হামলা করে। আহত নুর হাফেজ বলেন, চেয়ারম্যানের বাড়ির আগুন না নেভালে আমগোও বাড়িও পুড়তো। নেভাতে গেলে জাহাঙ্গীর শিকদার, মনিরের লোকজন হামলা করে। ইউনিয়ন জামাতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ঈদের দিন আমার বাড়িতে সংগঠনের উপজেলা সভাপতিসহ অনেকে আসে। আমরা খাওয়া দাওয়া করি।
গতকাল রাতেই আমাকে হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর শিকদার, শামসুদ্দিন শিকদার ও যুবলীগ নেতা মনিরের লোকজন। আজ তাদের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। আমাদের লোকজনকে কোপানো হয়েছে। হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কর্তব্যরত চিকিৎসক সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, চরাঞ্চল থেকে চারজন চিকিৎসা নিতে আসলে দুজনকে ভর্তি করি। আর দুজন গুরুতর আহত হলে তাদের মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের বিষয় জানতে কল দিলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মানির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আগুন নেভাতে যাই। তখন বিভিন্ন দিক থেকে লোকজন এসে মারধর শুরু করে। আমরা ফেরানোর চেষ্টা করি। আমি বা আমরা কোন হামলা করিনি। ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হান্নান মৃধা ভাইসহ, জালালদির শামসুদ্দিন মেম্বার,
আমি একটি সামাজিক বিচারে ছিলাম। শুনলাম কে বা কারা বিল্লাল চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন দিছে, ভাংচুর করছে। ফেরাতে গিয়ে আমিও আহত। আমার বা আমাদের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হান্নান মৃধা বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুর রহমান তো আওয়ামীলীগের নেতা। গতকাল বিল্লাল চেয়ারম্যানের লোকজন আওয়ামীলীগের লোকজন নিয়ে মিটিং করেছে বলে শুনেছি। আজ কে বা কারা আগুন দিয়েছে। আগুন নেভাতে গেলে আমার দলীয় লোকজন মার খেয়েছে। হরিরামপুর থানা ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।