জমি সংক্রান্ত বিরোধ, প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছাড়া শরীফ


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বসতভিটায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ গবাদিপশুর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম শরীফ নামের এক ব্যক্তি। প্রতিপক্ষের হুমকিতে তিন মাস ধরে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন শরীফ। প্রশাসনের কাছে জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।
উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চরকাহেৎধান্দুল গ্রামে নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় শরীফের বাবা ফজুল হক ও মা জহুরা খাতুনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শরীফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাশের বাড়ির প্রতিবেশী আবদুল আউয়াল গংদের সঙ্গে বিরোধ চলছে। এনিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলমান। কিছুদিন আগে প্রতিপক্ষের লোকজন ভাড়াটে লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান রোপন করে দখলে নেয়। আমরা এর প্রতিবাদ করিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বসতভিটায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে তারা। এসময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাথে গবাদিপশু গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে মারা যায়। তাদের হামলায় আনুমানিক আমার দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও তারা ২০লক্ষ টাকার জমি দখল করে নেয়। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করিলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
শরীফ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা নিরীহ-অসহায় মানুষ। প্রতিপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বাড়িতে গেলে আমাকে মেরে ফেলবে তাদের এমন হুমকিতে প্রাণভয়ে আমি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছি। যে কোনো সময় তারা আমার জানমালের ক্ষতিসাধন করতে পারে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
অভিযুক্ত আবদুল আউয়াল তার ওপর আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।