রবিবার, ২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

একআগরবাতি নজর কাড়ছে সকল ভক্তের, যার উচ্চতা তিনফুট,জ্বলবে সারারাত

সংবাদের আলো ডেস্ক: সিরাজগঞ্জে তাড়াশে শুরু হয়েছে তিনি দিন ব্যাপী বাংলা-ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত আউলিয়া ওলিকুল শিরোমণি হজরত শাহ শরীফ জিন্দানী (রঃ) এর পবিত্র ওরছ মোবারক। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল দশ ঘটিয়ায় শাহ্ শরীফ জিন্দানী (রঃ) এর মাজার প্রাঙ্গণে ওরছ কমিটি ও প্রশাসনের যোথ আয়োজনের বাস্তবায় হিসাবে ওরছের আনুষ্ঠিকতা শুরু করা হয়। এসময় তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল ইসলাম সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ, জামায়েত নেতৃবৃন্দরা সহ ওরছ পরিচালনা কমিটি, মাজার কমিটির সদস্য বৃন্দ সহ ভক্তবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর থেকে শাহ্ শরীফ জিন্দানী ( রঃ) মাজার সহ আশপাশের এলাকা জুড়ে ভক্ত সাধুদের আসর বসে। সন্ধ্যায় সেই আসরগুলোতে গুরুভক্তদের জমায়েত কর্ম হিসাবে তাদের নিজ নিজ আসনে মোমবাতি ও আসরবাতি জ্বালান। তারই ধাবাহিকতায় এক গুরুআসনে জ্বলছে” তিন ফুট উচ্চতার এক আজব আগরবাতি। যা দেখতে আসনে ভিড় জমাচ্ছে ভক্তরা।যার পুরুত্ব ২০ মি.মিটার। এমন আগর বাতি যতোই দেখেছেন ভক্তরা ততোই অবাক হচ্ছে । এমন আগরবাতি বাবার জনমেও দেখিনি। আজব এই আগরবাতি দেখতে সবাই ভিড় জমাচ্ছে মাজারে প্রাঙ্গের উত্তরপাশে পুকুরুরে উত্তর কিনারে বসা বাকী বিল্লাহর আসনে। সারা বাংলাদের এমন আগরবাতি কোন দরবারে জ্বালানো হয়নি বলে জানিয়েছেন মাজার ভক্তঅনুরাগিরা।আগরবাতি দেখতে আসা ভক্ত সবুজ জানান, আমার বাবার আসনে যে আগর বাতি আমরা জালিয়েছি তা সারা বাংলাদের কোন মাজার বা দরবারে জ্বালানো হয়নি কখনোই। আমিও আমার জীবন এই প্রথম দেখলাম এতো মোটা ও তিন ফুট উচ্চতার আগরবাতি। জিন্দানী (রঃ) আরেক ভক্ত আলআমিন হোসেন জানান, আমার বাবার আসনে আমরা তিন ফুট উচ্চতার আগর বাতি জ্বালিয়েছি।জিন্দানী দাদাকে আমরা এমন উপহার দিয়েছি যা কেউ কোনদিন জ্বালাতে পারেনি। শাহ শরীফ জিন্দানী (রঃ) এর ৩২ বছর ভক্তি করে চলে আসা গুরু বাকী বিল্লাহ জানান, আমরা বেলকুচি উপজেলার সোহাগপুর চরের চিশতিয়া চিলছিলা দরবারের ভক্তদের নিয়ে ওরছে আসন করে বসে আছি। দাদার আঙ্গিনায় এমন আগরবাতি কখনোই জ্বলেনি। আজই আমার ভক্তরা জ্বালিয়ে ছে। তিনি আরও জানান, আমার এক ভক্ত আমাকে ভালোবেসে এই আগরবাতি অর্ডির দিয়ে বানিয়ে নিয়ে এসেছে। সন্ধ্যায় আমার আসনে জালিয়েছি।এই আগরবাতির দাম তিন হাজার টাকা।এর পুরুত্ব ২০ মিলিমিটার।সন্ধ্যায় জ্বলিয়েছি এখনও জ্বলছে। যে ভাবে জ্বলছে তাতে মনে হচএ সকালে শেষ হবে। আর ওই আগরবাতিগুরুকে যে ভক্ত দিয়েছে সোই ভক্ত জানান, এমন আগর বাতি আমি কখনোই কোথাও জ্বলতে দেখি নাই। গুরুকে ভালোবেসে ও দাদা জিন্দানী কে ভালোবেসে এই আগরাতি অর্ডার দিয়েছিলাম। আজ সন্ধ্যায় নিজের হাতে জালাতে পারলাম। ভালোই লাগছে। আর এই আগরবাতি দেখতে দাদার ভক্তার ভিড় জমাচ্ছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়