লালপুরে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও তার সহকর্মীর উপর হামলা


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সঞ্জয় কুমার কর্মকার ও তার সহকর্মী শ্রী খোকন কুমার কর্মকারের ওপরে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে দূর্বত্তরা। উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে সঞ্জয় ও খোকন এক মৃত স্বজনকে দেখে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাঁরা রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে তাঁদের ওপর রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা সঞ্জয়ের বাঁ হাত ভেঙে দেয় এবং বুক ও পায়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। খোকনের ডান পা, বুক ও পেটে আঘাত করা হয়েছে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত শ্রী সঞ্জয় কুমার কর্মকার গোসাই আশ্রমের সভাপতি বিলমাড়িয়া গ্রামের অনিল কুমারের ছেলে। শ্রী খোকন কুমার কর্মকার একই গ্রামের শ্যামল কুমার কর্মকারের ছেলে। শ্রী সঞ্জয় কুমার কর্মকার বলেন, তিনি আশ্রমের সভাপতি থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ উত্তম মণ্ডলের ইন্ধনে প্রশাসন নতুন করে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়।এ ব্যাপারে তিনি নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা করেন। গতকাল তাঁর পক্ষে রায় হয়। এর জেরে তাঁর ওপর হামলা হতে পারে। তবে উত্তম মণ্ডল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানেন না ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে দেখে তাদের উপরে কে বা কাহার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে। শ্রী উত্তম কুমার গং উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের সুধীর মন্ডলের ছেলে। লালপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দিপেন্দ্রনাথ সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় শ্রী শ্রী ফকির চাঁদ গোঁসাইয়ের আশ্রম কমিটি গঠনের জের ধরে এই হামলা চালানো হতে পারে। লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।