ইফতারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি


সংবাদের আলো ডেস্ক: ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিনা সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি আর্দশ ডিগ্রী কলেজ মাঠে সন্ধ্যায় ইফতার পার্টির আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ইয়াসের খানের নেতৃত্বাধীন কমিটির নেতাকর্মীরা। অপরদিকে একই সময়ে ওই স্থানেই ইফতার পার্টির আয়োজন করে বিএনপি’র পদ বঞ্চিত আজিজুল হক পিকুলের সমর্থকরা। এসময় ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় দুটি পক্ষ অবস্থান নেয় এবং দুটি পক্ষই মারমুখি অবস্থানে উত্তেজনা তৈরি হয়। তিনি আরও জানান, বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ও নান্দাইল মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ আমরা নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আর্দশ ডিগ্রী কলেজ মাঠে অবস্থান করছিলাম।কিন্তু বিকাল পৌনে ৫ টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার একপর্যায়ে বিএনপি’র পদ বঞ্চিত নেতাকর্মী এবং আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইটপাটকেল ও ৮-টি ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান রতন, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন ফেরদৌস, যুবদল নেতা আবু হুরায়রা সহ উভয় পক্ষের ১০-১২ জন আহত হয়েছে। এছাড়া লাদেন মিয়া নামের এক যুবদল নেতা গুরুতর আহত হলে তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মুখে ১৪৪ ধারা জারীর বিষয়টি হ্যান্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। এসময় ময়মনসিংহ টু কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করছিল, অপরদিকে পদবঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীরা একই স্থানে ইফতার করার আয়োজনে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় সেখানে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার ১৪৪ ধারা জারী করেন। এখন পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইয়াসের খান এবং পৌর বিএনপির আহবায়ক আজিজুল হক পিকুলের সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।