ফিলিস্তিনিদের উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন


ইবি প্রতিনিধি: ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরায়েলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একদল শিক্ষার্থী। আজ বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে তাঁরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধবিরতির উপেক্ষা করে গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালানোর তীব্র নিন্দা জানায়। এই হামলার পরেও জাতিসংঘ ও বিশ্বের মুসলিম দেশসমূহের সংগঠন ওআইসি’র নিষ্ক্রিয়তা কাম্য নয় বলে জানায় তারা। এ সময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর থেকে ইসরাইল যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তাতে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিশ্চুপ রয়েছে। মনে হচ্ছে এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো শুধু মুসলিম উম্মাহকে ধ্বংস করতে বা ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য গঠিত হয়েছে। যখনই মুসলিম উম্মাহ এক হওয়ার জন্য চেষ্টা করে তখন জাতিসংঘ নামক কুতন্ত্র, ইহুদিতন্ত্র সংস্থা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, আজ নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতে লজ্জা হয়। যে মুসলিম জাতি অপর মুসলিম ভাইকে রক্ষা করতে পারে না, সেই মুসলিম জাতি হিসেবে আজ আমি লজ্জিত। হাসানুল বান্না নামক এক শিক্ষার্থী বলেন, ৫৭ টি মুসলিম দেশ নিয়ে ওআইসি গঠিত হয়েছিল। আজকের ঘটনাগুলো দেখে সেই সংস্থার নামটা মুখে নিতে লজ্জা হচ্ছে। মুসলমানদের স্বার্থে গঠিত হলেও সেইভাবে ভূমিকা রাখতে পারেনি সংস্থাটি। এটি সৌদি সরকারের ব্যর্থতা। ২০২৫ সালে এসে সম্প্রতি যুদ্ধ বিরতি নামক ধোঁকা ঘোষণা দিয়ে আবারও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালালো সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, আমাদের বিভিন্ন ধরনের চলাফেরা বা মতাদর্শ থাকতে পারে।
কিন্তু মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রশ্নে বা যখন আমাদের ভাইয়ের ওপর আঘাত আসবে তখন বিশ্ব মুসলিম এমনভাবে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে যেন প্রত্যেকটা মুসলিম ভাইদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারি। আমরা দেখেছি, অমুসলিম বা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতিত হলে মুসলিম বিশ্ব তাদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বা হত্যাযজ্ঞের সময় পুরো বিশ্ব চুপ হয়ে যায়। উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়, যা গত দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।