ভূঞাপুরে স্কুল ঘেষে বিএনপি নেতার অবৈধ বালুর পাহাড়


আখতার হোসেন খান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দুই শিক্ষকের যোগসাজশে স্কুল ঘেষে অবৈধ বালুর স্তুপে পাহাড় করেছেন হাসমত আলী নামে এক বিএনপি নেতা। তিনি উপজেলা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক ও নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি। বালু স্কুলের মাঠ ও বারান্দায় প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। জানা যায়, উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পাটিতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আব্দুস ছালামের সহযোগিতায় বিএনপি নেতা হাসমত আলী, শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বেশ কয়েকজন নেতা ওই স্কুল ঘেষে কয়েকমাস আগে অবৈধভাবে পাহাড়সম বালুর স্তুপ (পাহাড়) করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ দু’একজন শিক্ষকের সহযোগিতায় বিএনপি হাসমত আলীর নেতৃত্বে অবৈধ বালুর ঘাট করে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এতে যাতায়াতে বিঘœতা, ভেকু ও মেশিনের বিকট শব্দে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারে না। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, বিএনপি নেতা হাসমত আলী ও প্রধান শিক্ষককে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এই অবৈধ বালুর ঘাট বন্ধে একাধিবার বলা হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি, যারাই এই অবৈধ বালুর ঘাট বন্ধে প্রতিবাদ করে তাদেরকেই নানা ধরণের হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েও থাকেন এই প্রভাবশালী নেতা।শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্কুল ঘেষে অবৈধ বালুর ঘাট করা হয়েছে। এর ফলে এই বালু স্কুলের ক্লাসরুম, খেলার মাঠ ও বারান্দায় প্রবেশ করেছে, ধুলোবালির কারণে বইখাতা নষ্ট হয়। স্যারদের বলেও কোনা লাভ হয় না। বালুর কারণে ক্লাশ করা সম্ভব হয় না। তারা এই অবৈধ বালু ঘাটটি দ্রুত অপসারণ চান। উপজেলা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক ও নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসমত আলী জানান, স্কুলের কোনো ক্ষতি হোক তা চান না। এই বালুঘাটে তিনি ছাড়াও স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আব্দুস ছালামসহ আরও অনেকে জড়িত। আপনার সাথে দেখা করে পরে কথা বলব। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ঘাটটি দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।