সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে উত্তাল জনপদ—তিন দুর্বৃত্তের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনতা। গৌরাঙ্গ বাজার ফুটপাত ব্যবসায়ী ও হারুয়া এলাকাবাসীর আয়োজনে এক জোরালো মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে চিহ্নিত অপরাধী সুমন মাহমুদ, ওমর ফারুক ও জাকারিয়া মাহমুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্টের পর থেকে গৌরাঙ্গ বাজার এলাকায় প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সুমন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখানো হয়, এমনকি তুলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, বিএনপির নাম ব্যবহার করে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিম মাহমুদ হারুন ও পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকারিয়া মাহমুদ ঝুমনের প্রত্যক্ষ নির্দেশে এসব অপকর্ম সংঘটিত হচ্ছে। গত ১৬ ডিসেম্বর ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজের ছাত্র রিয়াদ আহমেদ রাহুল চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসী সুমন মাহমুদ ও তার গ্যাং তাকে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এমনকি ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হকার খলিল চাঁদা দিতে না চাওয়ায় অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে, নির্মমভাবে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। তথ্য অনুযায়ী, অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সুমন মাহমুদ ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মাদক, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণসহ অন্তত ৮-১০টি মামলা রয়েছে। এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা প্রকাশ্যে থেকে যাচ্ছে, যা জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা প্রশাসনের প্রতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন, “আমরা আর ভয় পেতে চাই না, ব্যবসা করতে চাই স্বাধীনভাবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কিশোরগঞ্জকে সন্ত্রাসমুক্ত করা।” এখন দেখার বিষয়, কিশোরগঞ্জ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই জনদাবির প্রতি কতটা আন্তরিকভাবে সাড়া দেয়।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।