বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ইবিতে ধর্ষকদের বিচার চেয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন

ইবি প্রতিনিধি: দেশব্যাপী সকল ধর্ষণের বিচার ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)  মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ  ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা। সোমবার (১০ মার্চ) বিকাল ৪ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলের ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি মো: আল আমিন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল হোসেন রাহাত, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত সাব্বির, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ- সমন্বয়ক সায়েম আহমেদ, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইবি শাখার সভাপতি সাজ্জাতুল্লাহ শেখ। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি আল আমিন হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে আইনের কোনো সুষ্ঠু প্রয়োগ নেই। অপরাধ করলেও সে দলীয় পরিচয়ের কারণে পার পেয়ে যায় । ১৭৫৭ সালের পর থেকে এ দেশে শাসক আসেনি যারা জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে কাজ করবে।ৎ১৯৪৭ সালে পরও বাংলাদেশ শোষিত হয়েছে। একাত্তরের পরেও বাংলাদেশে ধর্ষণ, হত্যা গুম কম হয় নি। দলীয় পরিচয়ে সকলে পার পেয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এটা কমেনি, শহীদেরা তো এজন্য জীবন দেয় নি, যে একের পর এক অপরাধ হবে যার বিচার হবে না। আমাদের দেশে দেখা যায় অপরাধীরা শাস্তির পরিবর্তে আইনি সহায়তা পায়। ধর্ষকের পক্ষে যে আইনজীবী সহায়তা করবে আমরা তারও বিচার চাই। বাংলাদেশ আনাচেকানাচে অনেক ধর্ষণ হয় কিন্তু বিচার হয় না। ইসলামী যুগে দেখেছি ওড়না টেনে ধরার কারনে যুদ্ধ পর্যন্ত বেঁধে গেছে। ধর্ষকের জন্য রজম এর বিধান কার্যকর চাই।” ইবি সহ সমন্বয়ক সায়েম আহমেদ বলেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ আপনারা  সহযোগিতা করলে জনগণকে আইনের প্রতি আস্থাশীল করতে পারবো ও কার্যকর আইন প্রতিষ্ঠা করতে পারবো আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলেছি পনেরো দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ও নব্বই দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সারা দেশে আসিয়াসহ যে সব ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে অতিদ্রুত বিচার কার্য শেষ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়