বীর নিবাস নির্মানের ঠিকাদার উপজেলার দুই কর্মচারী,দায়সারা কাজে বিল উত্তোলনের চেষ্টা


পঞ্চগড় প্রতিনিধি: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। আর এ ঘর নির্মাণে সরাসরি ঠিকাদার কাজ না কররেও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কার্য্য সহকারী জহিরুল ইসলাম,উপজেলা প্রশাসনের বার্তা বাহক জিয়াউর রহমান কাজ করেছে৷ এসব ঘর নির্মাণে দায়সারা কাজ ও উপকরণ ব্যবহার করে এখন বিল তুলতে দৌড়ঝাঁপ করছে এই দুই কর্মচারী। সরেজমিনে দেখা যায়, নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী বিদ্যুৎ লাইন,ফ্যান,পানির লাইন,দরজা,রং, ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।এতে ঘর হস্তান্তরের কয়েকমাসেই নষ্ট হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ ও পানির লাইন এবং সিলিং ফ্যান গুলো। এদিকে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলোর অভিযোগ,মুল ঠিকাদার কাজ না করে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কার্য্য সহকারী জহিরুল ইসলাম,উপজেলা প্রশাসনের বার্তা বাহক জিয়াউর রহমান কাজ করায়,তাদের ইচ্ছামতো কাজ করেছে।কথায় আছে রক্ষক যখন ভক্ষক।
পুনরায় কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী পরিবার গুলোর। জানা যায়,অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মান প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৩৯টি ঘর নির্মাণে ৫টি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করা হয়।এর মধ্যে ২ টি প্যাকেজের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী জেলার বোদার সিদ্দিকুর রহমান।বাকি ৩টির মধ্যে একটি করে পায় বোদার সুরমা ট্রেডার্স, রাদোয়া রুফাইদা ট্রেডার্স ও গোলাম ফারুক।ঘর প্রতি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।সময় বাড়িয়ে নেওয়ায় গত বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ঘর হস্তান্তরের কথা থাকলেও, কাজ শেষ না করেই হস্তান্তর দেখিয়ে গতমাসে চুড়ান্ত বিল দাখিল করা হয়েছে হিসাব রক্ষন অফিসে।তবে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বী পুনঃযাচাই করে বিল পরিশোধের চিঠি দেয় হিসাব রক্ষন অফিসে।
উপজেলার বামনপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী বলেন, সরকার ঘর দিয়েছে কিন্তু নির্মাণের সময় নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করছে জিয়াউর ও জহিরুল৷ এরাই বলে উপজলার লোক,এরাই আবার ঠিকাদার৷ আমাদের নামে যে বরাদ্দ এসে সেই বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ তারা করেনি। তাই তারা আমাদের কাজ ভাল করে দেয়৷ মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর ছেলে একরামুল হক বলেন,পানি ও বিদ্যুৎ লাইন সমস্যা, দরজা রং করেনি, হেজবল নাই কোন মতে বুঝায় দিয়ে গেছে। বীরমুক্তিযোদ্ধা সহিদুল ইসলামের ছেলে আবু তালেব জানান,দরজায় পচাঁ কাঠ,বিদ্যুৎ লাইন নষ্ট,পানি পড়ছেনা,একবার ঠিক করেও নিয়েছি তারপরও সমস্যা। বন্দিভিটার আব্বাস আলীর ছেলে আবু হাসান বলেন,ঘরের ভিতরে মাটি ভরাট করে দিয়েছি সে টাকা দেয়নি ঠিকাদার। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাদোয়া রুফাইদা ট্রেডার্সের প্রোপাইটর আসাদুজ্জামান রাজিব জানান, অনেক দুর হচ্ছে।এ জন্য জহিরুলসহ আরেকজনের নাম জানি না,তাদেরকে দেওয়া হয়েছে কাজটি।বিল করার জন্য একদিন এসে স্বাক্ষর করে নিয়ে গেছে তারা।ঠিকাদার সিদ্দিকুর রহমান জানান,একদিন স্বাক্ষর করে নিয়েছে।কাজগুলো জিয়াউর করছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু জানান,বিষয়টি শুনেছি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।