বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ভারতীয় এলওসি প্রকল্প বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

সংবাদের আলো ডেস্ক: ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় চলমান প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এলওসি প্রকল্পগুলো বন্ধ হবে না। অর্থনীতির জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়, কিন্তু ক্যান্সেল করা খুবই সেনসেটিভ ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমি যথেষ্ট যত্নবান। চট করে ক্যান্সেল করে দেবো না।

বুধবার (০৫ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ভারতীয় এলওসি আওতায় প্রকল্পগুলো নিয়ে সরকারের অবস্থান কি জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এলওসি নিয়ে কথা হয়েছে। এলওসি পার্টিকুলার দেশে আসে। ওই দেরি হওয়া মানে আমরা প্রজেক্টটা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করি, অনেকে বলে বন্ধ, না সেটা সম্ভব না। একটা প্রজেক্ট হয়েছে, সেটা যে সরকারই করুক এবং ভারত সাহায্য দিচ্ছে, এগুলো প্রয়োজনীয়। অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কয়েকটাতে প্রগ্রেস জিরো থেকে ওয়ান, টু আমরা দেখবো। কিন্তু আপাতত জেনারেললি বন্ধ করার বিষয় নেই। এখানে অর্থনৈতিক দিক ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক একটা বিষয় আছে। একটা দেশের সঙ্গে যখন দ্বিপাক্ষিক বিষয় থাকে তখন ওই দেশের প্রাইভেট সেক্টর হোক, গভর্নমেন্ট সেক্টর হোক আমরা সাহায্য-সহযোগিতর জন্য অর্থনীতি দেখি না। অর্থনীতির জন্য একটা প্রকল্প নেওয়া হয়, কিন্তু ক্যান্সেল করা খুবই সেনসেটিভ ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমি যথেষ্ট যত্নবান। চট করে ক্যান্সেল করে দেবো না। চট করে আমরা কিছু নিচ্ছিও না।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থায় আছে তা কিন্তু না। একটা বিষয় হয়েছে ব্যবসা-পাতিতে মন্দা, সোর্স অব ইনকাম সেটা কিছুটা কম। কিন্তু একেবারে ধ্বংসের পথ থেকে আমরা উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, নতুন এমপ্লয়মেন্ট (কর্মসংস্থান) কম হচ্ছে। সেটা আমরা একনেকে বলেছি। আর ব্যবসা-বাণিজ্য আমরা চেষ্টা করছি। কারণ ব্যবসা-বাণিজ্য সব থেকে বেশি। রিসেন্টলি এসএমই সেক্টরের ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে বলা হয়েছে। তবে কিছু লোকের কষ্ট হচ্ছে, সেটা আমরা স্বীকার করছি। তবে প্রাইজের থেকে আয়ের বিষয়টা বড়।

পোশাকখাত নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গার্মেন্টসে আমরা ক্যাশ ইনসেনটিভ দিচ্ছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে তাদের ম্যানেজমেন্টের দোষ আছে, কিছু আছে প্রোডাক্টের ডিমান্ড তেমন নেই। সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আরেকটু বেটার হলে ভালো হতো। গত বছরের তুলনায় অনেক পণ্যের দাম এখন কম।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়