বিসিবির কাছে এখনও বেতনের ৪৮ লাখ টাকা পান সাকিব


সংবাদের আলো ডেস্ক: ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় আছেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটকে যখন বিদায় বলার সময় এসেছে তার তখনই তিনি পড়েছেন বোলিং নিষেধাজ্ঞায়। সন্দেহজঙ্ক অ্যাকশনের জন্য বোলিং করতে পারছেন না তিনি। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে মিরপুর থেকে শেষ টেস্ট ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। একইভাবে ওয়ানডে ছাড়তে চেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে। তবে দুটোর কোনওটা সম্ভব হয়নি।
তারপরও বাস্তবতা হচ্ছে, সাকিব আল হাসান বিসিবির চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার ছিলেন ২০২৪ সালে। নিয়ম অনুযায়ী বেতনও পাওনা তার। তবে ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর আর ডিসেম্বরের বেতন পাননি সাকিব। ট্যাক্স বাদ দিয়ে এই অঙ্কটা প্রায় ৪৮ লাখ টাকার মতো ক্রিকেকবাজকে জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্তা।
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় তার বিরুদ্ধে আছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। পাশাপাশি জব্দ করা হয়েছে তার ব্যাংক হিসাবও। তাহলে বেতনের ৪৮ লাখ টাকা কীভাবে পাবেন সাকিব?
এ নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম ‘ক্রিকবাজকে’ বলেছেন,‘চুক্তি অনুযায়ী তার বেতনের টাকা পেয়ে যাবে সে। আপনি খেলুন বা নাই খেলুন চুক্তি করা আছে। আর আমরা অবশ্যই চুক্তি অনুযায়ী আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাব।’
বিসিবির ১৮তম বোর্ড সভায় নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করেছেন বিসিবি পরিচালকরা। সব ফরম্যাটে বেতন বাড়লেও টেস্টকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন নাজমুল আবেদীন, ‘পারিশ্রমিক বেড়েছে, ম্যাচ ফিও বেড়েছে। বাড়ানোর ক্ষেত্রে টেস্ট ক্রিকেটার যারা, তাদের বৃদ্ধির পরিমাণটা অন্যদের তুলনায় একটু বেশি। এর মধ্য দিয়ে ওদের আগ্রহটা আমরা ধরে রাখতে চাই।’
যেসব ক্রিকেটার শুধু টেস্ট ফরম্যাটে খেলেন তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করছেন জানিয়ে ফাহিম বলেন, ‘বিশেষ করে আমরা টেস্ট ক্রিকেটারদের সুরক্ষার ব্যাপারটাকে প্রাধান্য দিয়েছি। যারা শুধুই টেস্ট ক্রিকেট খেলে। তাদেরকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য, তারা যেন নিরাপদ অনুভব করে। তারা যেন একই সংস্করণ থেকে আরেক সংস্করণে যাওয়ার চিন্তাটা কম করে।’
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।