সোমবার, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সন্ধ্যা থেকেই সারাদেশে যৌথবাহিনীর কম্বাইন্ড পেট্রোলিং

সংবাদের আলো ডেস্ক: ঢাকা শহরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আজ সন্ধ্যা থেকে যৌথবাহিনীর কম্বাইন্ড পেট্রোলিং চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।শফিকুল আলম বলেন, আজকের মিটিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সেখানে অনোকগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম সিদ্ধান্তটা হচ্ছে যে পুরো ঢাকা শহরসহ যেসব জায়গায় আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে, সেসব জায়গায় আমরা পেট্রোল বাড়াবো। এই পেট্রোলিংটা আজকে সন্ধ্যা থেকে পুরো ঢাকা শহরে দেখতে পারবেন। এর জন্য যেটা করা হচ্ছে কম্বাইন্ড পেট্রোল করা হবে। কম্বাইন্ড হচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নেভি এরা সবাই একসঙ্গে কম্বাইন্ড পেট্রোল করবে। অনেকগুলো জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হবে।তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে। একইসঙ্গে ইন্টেলিজেন্স গেদারিং আরো স্টেপআপ করা, সেটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের যারা ইন্টেলিজেন্স উইং, এজেন্সি আছে তারা তাদের মতো করে গেদারিং বাড়াবে। আমরা সে অনুযায়ী অ্যাকশনে যাবো। প্রেস সচিব বলেন, সর্বশেষ যেটা হয়েছে ঢাকা খুবই যানজটপূর্ণ সিটি সেজন্য কোথাও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো কিছু ঘটলে সেখানে যেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেতে দেরি হয়। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে প্রচুর মোটরসাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব দ্রুত মোটরসাইকেলগুলো কেনা হবে যাতে দুইজন দ্রুত মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে যেতে পারে। আপাতত পুলিশের জন্য ১০০ নেওয়া হচ্ছে। পরে আরো ১০০ নেওয়া হবে।অন্যান্য বাহিনীর যারা আইন-শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত তাদের জন্যও আরো কিছু ৫০টি/৫০টি করে নেওয়া হবে।তিনি বলেন, আজকে গত কিছুদিনের পুরো পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আজকের সভায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই ছিলেন। এখানে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নেভি, কোস্টগার্ড এবং বিভিন্ন ইন্টিলিজেন্ট এজেন্সি ছিলেন। সবাই মিলে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত এসেছে, আমি শুধু মেজরগুলো বললাম। এই পেট্রোলিংটা কি শুধু ঢাকা সিটির জন্য নাকি সারাদেশে পরিচালো না করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ঢাকা আমাদের সবার আগে, এরপর সারাদেশে আপনারা এটা দেখবেন। আজকে সন্ধ্যা থেকে আগে শুরু করি, তারপর আপনারা দেখতে পাবেন। আগে শুরু হোক।নির্দিষ্ট কোনো স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টা নিয়ে ইন্টেলিজেন্স গেদারিং হচ্ছে, আপনারা দেখতে পাবেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকার কোনো উদ্বিগ্ন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে বলেই আজকের মিটিংটা হয়েছে। আজকে এখানে সবাই ছিলেন, যারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করেন তাদের সবার প্রতিনিধি ছিল। প্রতিটি সংস্থার যারা চিফ তারা প্রত্যেকেই এসেছেন। একটা হাইলেভেলের সভা হয়েছে।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো থেকে কোনো অসহযোগিতা দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এরকম কিছু দেখছি না। আমরা চাই বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব উন্নত করা। কারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। আমরা এই কাজটা সুচারুরূপে করতে চাই। কক্সবাজার ইস্যুতে আজকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কক্সবাজারে এসপি ও সিকিউরিটি এজেন্সি আছে তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন চাইছি, তারা আমাদেরকে দিলে আপনারা জানতে পারবেন।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়