মঙ্গলবার, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মৌ-খামারে ভাগ্য বদলে গেছে

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের খাদুলী গ্রামের মোঃ তফাজ্জল এর ছেলে ওমর আকন্দ ২০২০ সালে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির আঙ্গিনায় ১৩টি মৌমাছির বক্স নিয়ে মৌচাষ শুরু করে। অল্প সময়ে সফলতা আসায় পরবর্তীতে মৌচাষ কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। বর্তমানে তার খামারে ৩৭৪ টি মৌবক্স রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সারাবছর মৌবক্স নিয়ে মৌচাষ করেন। বাণিজ্যিকভাবে মৌ-চাষ করে তার বছরে আয় প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা। সরিষা মৌসুমে উল্লাপাড়ার চলনবিল এলাকায় মধু আহরণ করেন তিনি, এছাড়াও লিচুর সিজনে দীনাজপুর মৌবক্স নিয়ে মধু আহরণ করে থাকেন।ওমরের সাথে কথা বললেন তিনি জানান প্রতি কেজি সরিষা ফুলের মধু ৪০০ টাকা কেজি,লিচু ফুলের মধু ৭০০ টাকা এবং কালোজিরে ফুলের মধু ১২০০ টাকা বিক্রি করে থাকেন। লেখাপড়া বেশি করতে না পারলেও ওমর আকন্দ মৌচাষের মাধ্যমে তার পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে এনেছে। পাশাপাশি তার মৌ খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে ১০ জন বেকার যুবকের। খাদুলী গ্রামের রাজিব এবং আপন জানান তারা সহ আরো অনেকেই ওমর আকন্দের মৌ খামারে কাজ করে থাকেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তারা মৌবক্স নিয়ে যায় মধু আহরণ করতে।এতে তারা মজুরি পায় তা দিয়ে ভালোই চলছে। ওমর আকন্দের স্ত্রী পাখি খাতুন জানান তিনি সরিষা মৌসুমে তার স্বামীর মৌ খামারে সাহায্য করে থাকেন এছাড়াও তিনি আরো জানান তার পরিবার মৌচাষ করে সফলতা পেয়েছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়