নেত্রকোনা প্রতিনিধি: শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে তার স্বামীর স্মৃতি বিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের সেই বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ৫ই আগস্ট জনগনের ধাওয়া খেয়ে শেখ হাসিনা গণভবন তো ছেড়েছেন ঠিক ওই দেশ ছাড়াও হয়েছেন। তিনি এখনো ভারতের আশ্রিতা হয়ে আছেন। জাতিসংঘের রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে হাসিনার নির্দেশে খুন হয়েছে। আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত খুনি হাসিনাকে অবিলম্বে ফেরত চাই, বাংলাদেশের মাটিতে তার বিচার হবেই, কোন ক্ষমা নাই। গতকাল ভারতের একটি পত্রিকা ইন্ডিয়া তোদের জনমত জরিপে দেখা গেছে ভারতের ৫৫% চায়না ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেখ। দেখেন শেখ হাসিন আশ্রয় বাংলাদেশ নাই ভারতীয় নাই বিশ্বের কোথাও নাই হাসিনা আশ্রয়। আজ বিকেল ৪ টায় নেত্রকোনা জেলা শহরের মোক্তারপাড়া কালেক্টর মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ন- মহা সচিব সৈয়দ ইমরান সালেহ্ প্রিন্স এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ২৫ মাস জেলে রেখে হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যর মুখে ঠেলে দিয়েছেল। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষ জবাব দিয়েছে। হাসিনা বাংলাদেশেই থাকতে পারে নাই। ভারতে আশ্রিতা হয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামীলীগের চ্যাপ্টার শেষ হয়ে গেছে। আজকে আওয়ামীলীগ নাই কিন্তু তার রেখে যাওয়া সিন্ডিকেট এখনো রয়ে গেছে। বর্তমান যে সময় চলছে স্পর্শকাতর সময়। মানুষের পেটে লাথি মেরে আওয়ামীলীগ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। জনগন গরীব থেকে আরো গরীব হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম এই অন্তবর্তী সরকার সেই সিন্ডিকেট ভাঙবে। কিন্তু পারেনি। অনতিবিলম্বে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে আইনের শাসনে আনতে হবে।

বিএনপি জনগনের দল, জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ, জনগনকে নিয়েই এই দলের কাজ। আমরা সরকারকে বলেছিলাম যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন। কিন্তু আমরা গত ৬ মাসে কোন রোডম্যাপ পাইনি। তিনি বলেন, ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। এই ফ্যাসিবাদের বিচারও করতে হবে বাংলাদেশে এনে। তিনি অন্তবর্তী সরকারের দিকে প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন ওবায়দুল কাদেরের মতো শয়তানকে ধরা হলো না। ৬ মাস পরে কেন ডেভিল হান্ট। ওবায়দুল কাদেরদের মতো শয়তানরা পালিয়ে গেলে পরে কেন। এই অভিযান সফল করতে হলে আওয়ামীলীগের দোসরদের ধরতে হবে। আর কাল বিলম্ব না করে দ্রুত আইনশৃঙ্খলার উন্নিত করেন।চাঁদাবাজি বন্ধ করেন। সতর্ক হোন, ব্যবস্থা নিন। সারাদেশে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহসনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন শৃঙ্গলা পরিস্থির উন্নতি,

দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরনের জন্য নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্ত্রের অপচেষ্ঠা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জন দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর সঞ্চালনায় ও জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. আনোয়ারুল হকের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ন- মহা সচিব সৈয়দ ইমরান সালেহ্ প্রিন্স, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী, সম্মানিত সদস্য এডভোকেট আরিফা জেসমিন নাহিন, সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, এডভোকেট মাহফুজুল হক প্রমুখ। এছাড়া সমাবেশে জেলা, উপজেলা, উইনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল নেতা কর্মীরা দলে দলে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে স্লোগান দিয়ে এসে যুক্ত হয়।
