সংবাদের আলো ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠলেও হতাশা নিয়ে ফিরেছিল চিটাগাং কিংস। এবারের আসর দিয়ে তারা টুর্নামেন্টটিতে প্রত্যাবর্তন করেছে। মাঝে ছন্দপতন হলেও দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে দারুণ ব্যাটিং উপহার দিয়েছে চিটাগাং। বিপিএল ইতিহাসে রেকর্ডগড়া উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফি। দুজনের ফিফটিতে ভর করে চিটাগাং ফরচুন বরিশালকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে।
মিরপর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টানা ম্যাচ হওয়ায় ফাইনালের পিচ কেমন থাকে সেই আলোচনা উঠেছিল। শঙ্কা উড়িয়ে আজ (শুক্রবার) টুর্নামেন্টের মহারণী ম্যাচে স্পোর্টিং উইকেটরই দেখা মিলেছে। যেখানে ব্যাট হাতে চিটাগাংকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার। বিপিএল ফাইনালের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো উদ্বোধনী জুটিতে তারা দলীয় সেঞ্চুরি এনে দেন। যদিও তাদের চূড়ান্ত পুঁজিটা আরও বড় হতে পারত। শেষদিকে বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চিটাগাং থেমেছে বিপিএল ফাইনালের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৯৪ রানে।
এর আগে বিপিএলের ফাইনালে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ২০১৭ আসরে। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই রংপুর রাইডার্স ২০৬ রান তুলেছিল। তাদের সেই রেকর্ডটি আজ ইমন-নাফিরা ভেঙে দেবেন মনে হচ্ছিল। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও তাদের ভাঙা হয়নি। ২০১৯ আসরের ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৯৯ রান সংগ্রহ করেছিল। এরপরই অবস্থান চিটাগাংয়ের আজকের পুঁজি।
বিপিএলের ফাইনালে এর আগে উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের কোনো নজির দেখা যায়নি। গত বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বরিশালের হয়ে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৬ রানের জুটি গড়েছিলেন। আজ সেটিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটিতে পরিণত করেছেন ইমন-নাফি। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগাংয়ের এই দুই ওপেনার ৭৬ বলে ১২১ রান তুলেছেন। দুর্দান্ত এই জুটি ভাঙে নাফির বিদায়ে। পাকিস্তানি এই তরুণ ব্যাটার ৪৪ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে ৬৬ রান করেছেন। এর আগে ৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাফি।
এবাদত হোসেনের স্লোয়ার ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়েছেন নাফি। তাতেও অবশ্য ম্যাচের লাগাম হাতে নিতে পারেনি বরিশাল। দ্বিতীয় উইকেটে গ্রাহাম ক্লার্ককে সঙ্গে নিয়ে ইমন গড়েন ৭০ রানের জুটি। টুর্নামেন্টজুড়ে চিটাগাংয়ের ব্যাটিংয়ে প্রধান স্তম্ভে পরিণত হওয়া ক্লার্ক ফাইনালেও ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন। তবে অপরপ্রান্তে বিপরীত মেজাজে ব্যাটিং করেছেন ইমন। ৩০ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি পেলেও তিনি পরের ১৯ বলে করেছেন ২৮ রান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪৯ বলে ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় ৭৮ রান করেন ইমন।
গ্রাহাম ক্লার্কও ফিফটির পথেই ছিলেন। কিন্তু তার উইকেটটি কাটা পড়েছে রানআউটের ফাঁদে পড়ে। এর আগে ২৩ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ রান করেছেন ইংল্যান্ডের এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে চিটাগাংয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৯৪ রান। বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেছেন এবাদত ও মোহাম্মদ আলি। একইসঙ্গে আলি সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিংও করেছেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.