বাগমারায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ
আল আমিন স্বাধীন, মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা ভাংচুরসহ বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের দেওপাড়া মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মৃত এছার উদ্দিনের ছেলে আঃ রশিদ মাহবুব আলম , রফিকুল ইসলাম ও রহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন । এদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ও রহিদুল ইসলাম বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। জানা যায় , একই গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে আনোয়ার (৪৫) জানার উদ্দিন (৪০) কামাল হোসেন (৩৮) আঃ মতিন (৩০) লালবর উদ্দিন (২৮) দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে আঃ রশিদ জমিতে কাজ করার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেয় এক পর্যায়ে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি হয় । এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় আনোয়ার সহ তার লোকজন।পরে তাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় ও দুজনকে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুপক্তভোগী মাহবুব আলম বলেন , অনেক দিন থেকেই জমি নিয়ে বিরোধের জের হয়ে আসছিল এমতাবস্থায় গত সোমবার আমার ভাই আঃ রশিদ জমি কাজ করতে গেলে তারা আমার ভাইকে বাঁধা দেয় তখন তাদের সাথে আমার ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয় একপর্যায়ে তারা আমার ভাইকে মারধর করে আমরা এগিয়ে আসলে তারা আমাদের ও বিভিন্ন ভাবে কিল ঘুষি মারে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় এবং আমার আরো দুইজন ভাইকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয় । তারপর থেকে তারা আমাদের বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি দিয়ে আসছে আমি আমার জীবনের ভয়ে আমি আমার এক আত্মীয়র বাসায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এবং আমার বাড়িতে আমার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে রেখে যায় মঙ্গলবার রাতে তারা আবার আমার বসতবাড়িতে ভাঙচুর করে ও পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। মাহবুবের স্ত্রী হালিমা খাতুন বলেন , গত সোমবার মারামারির পর থেকে আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না হঠাৎ করে তারা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে থেকে আমাদের বাড়ির সামনে এসে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয় এবং আরো অনেক কিছু বলে। রাত পৌনে ১ টার দিকে আমি ঘরের বাহিরে বের হয়ে দেখি আমার বাড়িতে আগুন জ্বালছে আমি অনেক কান্নাকাটি ও ডাক চিৎকার দিলে আমার গ্রামের আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। বর্তমান আমি আমার ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে নিরাত্তাহীনতায় ভুকছি । এমতাবস্থায় আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি । এ বিষয়ে বিবাদী লালবর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ থাকার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল হক জানান , অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।