সংবাদের আলো ডেস্ক: চট্টগ্রামের পটিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবু সাদাত মো. সায়েম (৪৩) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, মৃত নুরুল আলমের পুত্র। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অভিযান চালিয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুরের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকা থেকে আবু সাদাত মো. সায়েমকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছিল, এবং অস্ত্র সংরক্ষণ ও বিতরণের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পুলিশের হাতে আসে। গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সায়েম স্বীকার করেন, তার কাছে প্রচুর অস্ত্র রয়েছে এবং সে পটিয়ায় সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ইলিয়াছ খার বাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় দেশীয় তৈরি একটি আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি) উদ্ধার করা হয়।
পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর জানান, আবু সাদাত মো. সায়েম দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র সংরক্ষণ ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত। গত ৪ আগস্ট পটিয়ায় মাদ্রাসা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তার প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে পটিয়ায় সংঘটিত সহিংসতায় অস্ত্র সরবরাহের পেছনে তার নাম উঠে এসেছে। পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, যা তদন্তের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারের পর বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) তাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং তার রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তার রিমান্ডে নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করবে।আবু সাদাত মো. সায়েমের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সায়েম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিল এবং তার বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস পেত না। তার গ্রেফতারের ফলে পটিয়ায় অবৈধ অস্ত্র ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ওসি বলেন, “অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ যদি সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে, তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.