শিবির নেতাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে মারতে এলেন ছাত্রদল নেতা
সংবাদের আলো ডেস্ক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলামকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার সূত্রাপুর থানায় আয়োজিত এক নাগরিক সভা চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, পুলিশ আয়োজিত নাগরিক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সভায় রিয়াজুলের একটি ছবি দেখিয়ে তাকে ছাত্রলীগ করে দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে হট্টগোল সৃষ্টি হলে পুলিশ রিয়াজুলকে ওসির অফিসে বসতে বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ছাত্রশিবির ও কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা থানায় আসতে শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাদের মীমাংসা করে দেয়।এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আমার সঙ্গে জবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সেক্রেটারির একটা ছবি দেখিয়ে তারা তেড়ে আসে। ছবিটা আমি যখন জবি আবৃত্তি সংসদের সেক্রেটারি ছিলাম তখনকার। আমি জীবনে ছাত্রলীগ করিনি। কোনো মিছিল, মিটিং, শো-ডাউন কিছুই করিনি। কিন্তু তারা একটা ছবি দেখিয়ে কোনো কিছু যাচাই-বাছাই না করে হঠাৎ তিনজন মিলে হামলার জন্য এগিয়ে আসে। পেছনে তাদের লোকজন চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে থাকে। পুলিশের একটা টিম আমাকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে যেন আমার উপর হামলা না করে।” তিনি আরও বলেন, “আমার সঙ্গে স্থানীয় একজন মুরুব্বি ছিল, তাকেও মারতে আসে। পুলিশও বলছিল যে, তারা আশঙ্কা করছিল মুরুব্বির ওপরও হামলা হতে পারে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। তারা আমাকে চেনে। তারা জবি ছাত্রদলের সঙ্গে যোগাযোগ না করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।”রিয়াজুল বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসে সবার সঙ্গে আমরা বন্ধুভাবাপন্ন আছি। হঠাৎ করে বাইরের কেউ থেকে এসে ঝামেলা করছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। তবে আমরা ঐদিকে যাবো না। আমরা ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে নেব। এটাকে কেন্দ্র করে কোনো স্থিতিশীল না হয় তার আহ্বান জানাচ্ছি।” সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, “আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। পূর্বের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। এটার জন্য আমি দুঃখিত।” সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, “সভা চলাকালীন শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদকের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল সভাপতি হট্টগোল সৃষ্টি করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাৎক্ষণিক আমরা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদককে ব্যারিকেড দিয়ে আমার কক্ষে নিয়ে আসি। ছাত্রদল সভাপতি জসিম উদ্দিন নিজের ভুল বুঝতে পারায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।”
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।