ভূঞাপুরে চোরচক্রের ব্যবহৃত চেতনা নাশকে হাসপাতালে ৪ জন
আখতার হোসেন খান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চোরচক্রের ব্যবহৃত চেতনা নাশকের প্রতিক্রিয়ায় ৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এক রাতেই তিন বাড়িতে চেতনা নাশকপ্রয়োগ করে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়রি) রাতে উপজেলার ফলদা ও ঝনঝনিয়া এলাকায় এ দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। খোজ নিয়ে জানা যায়,উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃরাজ্জাকের বাড়িতে বারান্দার টিন কেটে ঘরে প্রবেশ করে চোরচক্র। ঘরে প্রবেশ করে ঘরে থাকা স্টীলের ট্রাঙ্ক ভেঙে আনুমানিক ৩ ভরি স্বর্নালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর দাবী এর আগে তাদের চেতনা নাশক বা কোন নেশা দ্রব্য বাড়িতে থাকা টিউবওয়েলের পানির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছিলো। যার ফলে তারা সবাই অচেতন হয়ে পরেছিলো। এ ঘটনায় তার পুত্রবধু এখনো অসুস্থ। তার প্রভাব এখনো রয়েছে। ঠিক একই ভাবে ঐ গ্রামের বাদশা মিঞা ( কাশেম)’ র দাবী রান্না ঘরে খাবারের সাথে চেতনা নাশক মিশিয়ে দেয়া হয়েছিলো। খাবার খাওয়ার পর তারা অচেতন হয়ে যায়।তবে তাদের কোন কিছুই নিতে পারেনি চোরচক্র। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুতই পালিয়ে যায়। তবে চেতনা নাশকের প্রভাব বেশি হওয়ায় ঐ পরিবারের বাদশা মিঞা,তার ছেলে এবং তার পুত্র বধু সহ তিন জনকেই ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে ফলদা দিঘুলিয়াপাড়া এলাকায় আব্দুর রশিদের ঘরের টিন কেটে ঘরে ঢুকে স্বর্ন,রুপা এবং নগদ টাকা নিয়ে যায়। তাদের দাবী পানির সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুর রশিদের ছেলে সিয়াম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, গত ১ মাসের ব্যাবধানে একই এলাকায় প্রায় ৭ টি চুরির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকাবাসীদের মধ্যে মাদকাসক্ত ও সক্রিয় চোরচক্রের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী আরো জানান আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারনে এলাকায় চোর ডাকাতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রায়ই ঘটছে এমন ঘটনা। ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম রেজাউল করিম বলেন আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।