সিরাজগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী অবরুদ্ধ, ক্ষমা চেয়ে মুক্তি
![](https://www.sangbaderalo.com/wp-content/uploads/2024/07/Messenger_creation_7d2fe930-bac8-419e-bb49-95341820f8c6.jpeg)
![](https://www.sangbaderalo.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নজরুল ইসলাম: সিরাজগঞ্জ এলজিইডি’র সমালোচনা যেন কাটছেই না।দুর্ব্যবহার, অহেতুক টেবিল ঘুরানো, বিল পাশ ও প্রদানে ধীরগতি, ঠিকাদারকে না জানিয়েই কাজ বাতিল, এমনকি নিয়ম কানুন অনুসরণ না করেই একাধিক ঠিকাদারের চুক্তি বাতিলসহ নানা বিষয়ে ঠিকাদারদের হয়রানি করায় দেড় ঘন্টা নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল এলজিইডি’র ঠিকাদারগণ।গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উনিশ থেকে বিশ জন ঠিকাদার সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এসময় জেলার একাধিক গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে পরিদর্শনের গাফিলতি, ঠিকাদারের সাথে দুর্ব্যবহার, বিল পাশে অনীহাসহ নানা অভিযোগের কথা নির্বাহীর সামনে উপস্থাপন করেন। এসময় তাদের কথা গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ততা দেখানোয় তারা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে। সঠিক উত্তর দিতে না পারায় এক পর্যায়ে তিনি ক্ষমা চেয়ে সকলকে রেখেই অফিস থেকে বের হন।
প্রথম শ্রেনির একাধিক ঠিকাদার জানায়, কাজ নিতে টাকা, শুরু করতে টাকা, বিল নিতে টাকা, ব্যাংক সিকিউরিটি নিতে টাকা, ক্যালকুলেটর ধরে কাজের জামানত ফেরত নিতে টাকা দিতে হয় জেলা ও উপজেলা অফিসারদের। দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জ এলজিইডির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগ উঠলেও বদলি আর পদায়নে সীমাবদ্ধ। এর ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এর আগে, তরুণ নামের এক ঠিকাদার বলেন, আমি ৭৫ লাখ টাকার পারফরমেন্স গ্যারান্টি পাব। গত দুই দিন আগে আবারও গ্যারান্টির টাকা চাইতে আসলে, তিনি বলেন আমার মাথা গরম আছে, আপনি আমার রুম থেকে বের হয়ে যান। তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছে, আমি যদি রাতে স্ট্রোক করে মরে যেতাম। তাহলে আমার পরিবারের কি উপায় হতো এমন প্রশ্ন নির্বাহীকে করা হলে তিনি হেসেই উড়িয়ে দেওয়ায় অন্যান্য ঠিকাদার আরো ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে।
এছাড়া সোহান এন্টার প্রাইজের মালিক শহাদত হোসেন বুদ্দিন জানান, আমার কাজ অনেক দিন ধরে শেষ হয়েছে , কাজটি দেখে বিলটি দেওয়ার অনুরোধ করছি একাধিকবার। এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরছি। একটি কাগজ সিনিয়র প্রকৌশলী আহরাম স্যারকে ডেকে নিয়ে বলি স্যার বিষয় টা দেখেন। ওনি সিনিয়র প্রকৌশলীর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর আমাকে ধমক দিয়ে বলছেন আপনি আমার রুম থেকে বেরিয়ে যান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান, ওনি আমার বিল আমাকে না জানিয়েই তুলেছে। আমরা শুনেছি এই নির্বাহী প্রকৌশলী অতীতে কোথাও ৮ থেকে ১০ মাসের বেশি চাকুরী করতে পারে নাই।।কবির তালুকদার নামের এক ঠিকাদার জানান, আমি একটা কাজ পেয়েছিলাম, আমি টাকা দিতে পারি নাই, এজন্য কাজ দেয় নাই। তিনি একক ক্ষমতায় রি-টেন্ডার করেছে। এসব বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলেন তিনি বলেন, আপনাদের কাছে সব কিছুর ব্যাখা দিতে পারব না। আপনারা বেশি প্যাঁচায়েন না।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।