জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সংবাদের আলো ডেস্ক: কষ্টের জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করল দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। ২০১২ ও ২০১৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজ আজ, পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করে। ঐতিহ্য বলুন বা গুনে-মানে কোন দিক থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ধারে-কাছেও নেই পাপুয়া নিউগিনি। কিন্তু সেই দলের দেওয়া ১৩৭ রানের সহজ লক্ষ্য পার করতেই ১৯তম ওভারের শেষ পর্যন্ত খেলতে হলো দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের। ১৬ ওভার শেষে ৯৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট চলে যাওয়ায় হারের মৃদু শঙ্কাও জেগেছিল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে কাঙ্খিত জয়ই পেল ক্যারিবিয়ানরা। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে নিউগিনি। জবাব দিতে নেমে ৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।১৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ওপেনার জনসন চার্লসকে হারায় উইন্ডিজ। তিনে নেমে শুরুতে স্ট্রাগল করতে হয়েছে নিকোলাস পুরানকেও। তবে আস্তে আস্তে মানিয়ে নেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ব্রেন্ডন কিং ও পুরান মিলে দলকে নিয়ে যান ৬১ রান পর্যন্ত। তবে এই রানে পুরান (২৭ বলে ২৭) ও আর ২ রান যোগ হতেই ফেরেন কিং (২৯ বলে ৩৪)। অধিনায়ক রোভম্যান দলীয় ৮৫ আর শেরফান রাদারফোর্ড ফেরেন ৯৭ রানের মাথায়। অল্প সময়ে বেশ কয়েকটি উইকেট হারালেও বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করেছেন রোস্টন চেজ। আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪টি চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ২টি ছক্কা। ৯ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাসেল।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ক্যারিবীয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নিউগিনির ব্যাটাররা। ৭ রানের মধ্যে তুলে নেয় ২ উইকেট। চারে নামা সিসি বাউকে নিয়ে দলটির অধিনায়ক আসাদ ভালা প্রতিরোধের ইঙ্গিত দিয়েও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৩৪ রানে অধিনায়কের বিদায়ের পর ৫০ রানের মাথায় ফেরেন পাঁচে নামা হিরি হিরিও। পঞ্চম উইকেটে চার্লস আমিনিকে নিয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন বাউ। ৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন এই দুজন। ৯৪ রানে আন্দ্রে রাসেলের বলে আমিনি ফিরলে ভাঙে এই জুটি। দলীয় এক শ পূর্ণ হওয়ার আগে ফেরেন বাউও। তবে এরই মধ্যে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। ৪৩ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি।
একশ রানের আগে ৬ উইকেট হারালেও শেষদিকে পাপুয়া নিউগিনিকে ভালো রান এনে দেন উইকেটকিপার ব্যাটার কিপলিন দরিগা। ১৮ বলে শেষ পর্যন্ত ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাতে ১৩৬ রানের পুঁজি পায় পাপুয়া নিউগিনি।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।