মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: মদনে আকস্মিক বন্যায় ৩০ হাজার পরিবার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। ত্রাণ বিতরণে দিন-রাত কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। গত কয়েক দিনে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি উপচে মদন পৌর সদরসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ধনু-মগড়াসহ বিভিন্ন নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে গুচ্ছ গ্রামসহ অসংখ্য ঘর বাড়ি, পুকুর ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,কমিউনিটি ক্লিনিক,ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় মসজিদ , মন্দির ও গ্রামীণ কাঁচা পাকা সড়ক।
উপজেলা সদরের সাথে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন বানবাসি মানুষের আশ্রয়ের জন্য ০৮ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৫১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলে শুকনা খাবার,চাল ডাল,তেলসহ নগদ অর্থ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পানি বন্দি লোকজন আতংকে জীবন যাপন করছেন। বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা বালালী গ্রামের আজাহান,হিরা লাল,নন্দলাল, আব্দুল হক,খাদেম আলী বজলু মিয়া,বাঘমারার গ্রামের শাহানা,আলমগীর জানান,শুক্রবার বিকালে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার হঠাৎ আমাদের বাড়ি ঘরে পানি উঠে যায় । আমরা জীবন বাঁচাতে এ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি। এখানে আমাদের মত প্রায় ৭০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, উপজেলার ৫১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্ত প্রত্যেক পরিবারকে প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন সকল জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, রাজনৈতিক ব্যক্তিগণকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এ উপজেলায় ত্রাণের কোন ধরণের ঘাটতি নেই। ৯টি কন্টোলরুমের মাধ্যমে বন্যাতদের সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য ০৯ টি মেডিকেল টিম কাজ কাজ করছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.