মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

৫০ শিক্ষার্থীকে ইবি শাখা শিবিরের বৃত্তি প্রদান, ভবিষ্যতে সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত (স্নাতক) ৫০ জন শিক্ষার্থীকে এক বছর মেয়োদে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। তবে ছাত্রকল্যাণ বিভাগের সক্ষমতার আলোকে পরবর্তী সময়ের বৃত্তি প্রদানের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটি। সোমবার (২১ এপ্রিল) সংগঠনটির অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ‘শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প ২০২৫’ এর আওতায় এ শিক্ষাবৃত্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রকল্যাণ বিভাগ কর্তৃক “শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প ২০২৫” এর কার্যক্রম চলতি মাস থেকে শুরু হয়েছে। যাচাই-বাছাই ও সামগ্রিক বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ জনকে এক বছর মেয়াদে বৃত্তি প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। ছাত্রকল্যাণ বিভাগের সক্ষমতার আলোকে পরবর্তী সময়ের বৃত্তি প্রদানের সংখ্যা বাড়তে পারে।

’ শাখা ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুব আলী জানান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রকল্যাণ বিভাগের এই মহতী উদ্যোগকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছাত্রশিবিরের এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদানের এই কার্যক্রম আমরা শুরু করতে পেরেছি, এজন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আশা করি ভবিষ্যতে ছাত্রকল্যাণ বিভাগ তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে এই প্রকল্পের আওতায় আনতে সক্ষম হবে।

তিনি আরও জানান, ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময়ই ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করে আসছে এবং এই শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। আমি বিশ্বাস করি, এই বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করবে এবং দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং যারা এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন আমাদের এই মহৎ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। এ বিষয়ে সংগঠনটির মাহমুদুল হাসান বলেন, আমাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প চালু ছিল।

তবে এবছর সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছি। এটি আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিতে একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। ছাত্রশিবির সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণে আমরা আমাদের ইতিবাচক কাজের ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়