দুর্গাপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা


রাজেশ গৌড় দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাবার বিরুদ্ধে ১৫ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত বাবা (৫৫) উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এদিকে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানির পর থেকেই অভিযুক্ত বাবা গা ডাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। মামলায় ভুক্তভোগীর মা উল্লেখ করেন, তাঁর ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে তার স্বামী (মেয়ের বাবা) দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিল। গত পাঁচ মাস আগে মেয়ের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঐ দিনের পরে একই রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিজ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষনের কথা কারো কাছে বললে পরিবারের সবাইকে খুনের হুমকি দিতো অভিযুক্ত বাবা। প্রাণ ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি মেয়েও।
তবে ঘটনার প্রায় এক মাস যেতেই মেয়ের শরীরের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। মেয়ে গর্ভবতী মেয়েদের মতো বারবার বমিসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে বাবা দুর্গাপুর ফারিহা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। পরে মেয়ের গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পেরে কৌশলে মেয়েকে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সকলের অজান্তে মেয়ের গর্ভপাত ঘটান। স্বজনরা জানান, সম্প্রতি আবারও ভুক্তভোগী মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা চালাই তার বাবা তারপর ওই মেয়ে বিষয়টি তার বড় বোনকে জানালে সে পরিবারের অন্যদের বলে ধর্ষণের বিষয়টি এরপরই জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী মেয়ের মা বলেন, আমার স্বামী আমার সাথে রাতে ঘুমাতো কিন্তু রাতে আমার ঘুম ভাঙলে আমি তাকে বিছানায় পেতাম না। এখন কয়েকদিন হইছে এ ঘটনা আমার বড় মেয়ের কাছ থেকে শুনছি। আমি এইসব নিয়ে কথা বলতেও পারি না আমাকেসহ মেয়েকে মারধর করে, আমি বিচার চাই। এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।



সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।