বুধবার, ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সেনাবাহিনী পক্ষে ছিল বলেই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে : রিজভী

সংবাদের আলো ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৭১, ’৯০ আন্দোলনে এবং ২০২৪ সালের আন্দোলনে সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে আমাদের সম্মান দেখাতে হবে। রোববার (২৩ মার্চ) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ- এ্যাব এর সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত শক্তিশালী করার জন্য, আরও সামনে যে কাজ আছে অর্থাৎ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন এবং প্রতিটি মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার যে গণতান্ত্রিক সমাজ সেই সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের এখন লড়াই করতে হবে। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তাই আমাদের আলোচনা কথাবার্তায় এমন সহনশীল দেখাতে হবে যাতে রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। রিজভী বলেন, আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে আমাদের দ্বারা সেইসব প্রতিষ্ঠানে যেন কোনো ক্ষতি না হয়। আমাদের মনে রাখতে হবে। ’৭১ সালে আমাদের দেশের সেনাবাহিনী সর্বোপরি এদেশের জনগণের সঙ্গে ছিল এবং সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মেজর তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সব সময় দেশের জনগণের পক্ষে কাজ করেছে। আমরা ’৯০-এর আন্দোলনেও দেখেছি আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০২৪ সালেও আমরা দেখেছি এই সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে, আমাদের সম্মান দেখাতে হবে। সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজগুলো আমাদের করতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ছাত্র জনতা, শ্রমিকরা প্রত্যেকে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রের কাঠামো আরও মজবুত করতে হবে। শক্তিশালী গণতন্ত্র আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রতিটি নাগরিক যেন তার প্রাপ্য স্বাধীনতা পায় এরকম একটা রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করতে হবে।এ্যাবের সদ্য সাবেক মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর নির্দেশনায় আমরা সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে আজ ও আগামী দুই দিন ইফতার বিতরণ কর্মসূচি পালন করব। ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এ্যাবের সদ্য সাবেক মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী একেএম জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন, প্রকৌশলী এটিএম তানভির-উল হাসান তমাল, প্রকৌশলী মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, প্রকৌশলী বিজু বড়ুয়া, প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আহসানুল রাসেল, প্রকৌশলী নাজমুল হুদা খন্দকার, প্রকৌশলী আবু হোসেন হিটলু, প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান সাইফুল, প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী, প্রকৌশলী নূর আমিন লালন, প্রকৌশলী শামীম রাব্বি সঞ্চয়, প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন, প্রকৌশলী গোলাম রহমান রাজিব, প্রকৌশলী মিনহাজ, প্রকৌশলী সিয়াম, প্রকৌশলী সিরাজ, প্রকৌশলী সোহাগ, প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, প্রকৌশলী সারোয়ার মওলা, প্রকৌশলী খান ফয়সাল, প্রকৌশলী হুমায়ুন, প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর, প্রকৌশলী পারভেজ, প্রকৌশলী তৌহিদ, প্রকৌশলী সালমান, প্রকৌশলী আরিফ, প্রকৌশলী মাহাদী, প্রকৌশলী আশিক, প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদার, প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন সুজন, প্রকৌশলী শরিফুল বাবু, প্রকৌশলী রেজাউল করিম, প্রকৌশলী মাইনুল, প্রকৌশলী সেজান, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেনসহ এ্যাবের বহু সংখ্যক প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে এ্যাব-এর সব নেতাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, আমরা এক দুর্বিষহ সময় অতিক্রম করে বর্তমান পরিস্থিতিতে এসে উপনীত হয়েছি। পূর্বে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বললে তার বেঁচে থাকা খুবই কঠিন ছিল। তাকে নানা বিধি মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে তার পার্মানেন্ট ঠিকানা হতো কারাগারের মধ্যে অথবা গুম, খুনের শিকার হতো। এখন আমাদের সংগ্রাম হবে ন্যায় বিচার ও পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের আলোচনা এবং কথা বার্তার মধ্যে এমন সহনশীলতা দেখাতে হবে যাতে সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না হয়।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়