বুধবার, ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ 

ইবি প্রতিনিধি: ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েল কর্তৃক নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা। শুক্রবার (২১ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর বিশ্বিবদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে তারা প্রশাসন ভবনের সামনে সমবেত হয়। এসময় পার্শ্ববর্তী এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের সাথে যুক্ত হয়। এসময় মিছিলে তাদের, “বিশ্বের মুসলিম, এক হও লড়াই করো”, “ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন”, “ফিলিস্তিনের কারণে ভয় করি না মরণে”, “ফিলিস্তিন দিচ্ছি ডাক বিশ্ব মুসলিম জাগরে জাগ” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার  সভাপতি ইসমাইল হোসাইন রাহাত বলেন, “আমরা এমন এক ক্রান্তিলগ্নে দাড়িয়েছি যখন আমরা শান্তিতে বাঁচতে পারলেও গাজাবাসীরা প্রতি মূহুর্তে ভয়ে থাকে এই বুঝি ইসরায়েলের মিসাইল জীবন শেষ করে দেয়। আজকে আমাদের এক হতে হবে, আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইয়েরা রক্ত গঙ্গার ভাসবে সেখানে আমরা বসে থাকতে পারি না।ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে বলেছিল আমরা সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাদের পরামর্শে ইসরায়েল হামলা চালাচ্ছে। ওআইসি গঠিত হয়েছিল মুসলিম বিশ্বকে সংগঠিত করতে কিন্তু তারাও আজ নিশ্চুপ। আমরা বলতে চাই, জানতে চাই এই বিশ্ব মুসলিমের আর কতো রক্ত ঝরলে আপনারা জাগ্রত হবেন? আজকে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে চাই। আমরা রক্ত দিতে হলেও প্রস্তুত।”  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, “সারাবিশ্বে আমাদের এমনভাবে জেগে উঠতে হবে যেন ইসরায়েল ফিলিস্তিন বাসীদের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য হয়।” বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইউসুব আলী বলেন, “নেতানিয়াহু যেটা বলেছে হামলা কেবল শুরু। আসলে এটা হামলার শুরু নয়,তার পতন শুরু হয়েছে। সম্মুখ যুদ্ধে যখন ইসরায়েল একজন হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করতে পারে নাই ঠিক তখনই তারা পিছন থেকে নারী ও শিশু হত্যা শুরু করেছে। ফেরাউনের বিশাল শক্তশালী বাহিনী থাকা স্বত্তেও তারা জয়ী হতে পারে নাই তেমনি ইসরায়েলের সামরিক শক্তি বেশি হলেও তারা জয়ী হতে পারবে না। যত মানবাধিকার সংগঠন আছে সবই যেন অমুসলিমদের মানবাধিকার রক্ষার সংগঠন, তারা মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো প্রতিবাদ করে না। সারাবিশ্বে যেখানে মুসলিমদের উপর সহিংসতা বেড়েছে সেখানে তারা একটি কথাও বলে না।  বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনের  মানুষের মুক্তি এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের ধ্বংস কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়