জামায়াতের ইফতার মাহফিলে বিএনপির হামলা, প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ


পঙ্কজ সরকার নয়ন, গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে বিএনপি সস্বস্ত্র হামলা। এতে অন্তত ১০ জন আহত। ২জনের অবস্থা আশংকা জনক। নেক্কার জনক এই হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে কালীগঞ্জ উপজেলা জামাতের ইসলামী। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করে জমায়াত। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য খায়রুল হাসান। মিছিলটি কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে কালিগঞ্জ পৌরসভার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্যাংকের মোড় এলাকার খোদেজা কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে শেষ হয়।বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে খায়রুল হাসান বলেন, ইফতার মাহফিল একটি মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগ অনুভূতির জায়গা। এমন জায়গায় যারা আঘাত করেছে নি:সন্দেহে তারা নিন্দনীয়, ক্ষমার অনুপযোগী অপরাধ করেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার সদস্যদের বলতে চাই অতি শীঘ্র তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের মাধ্যমে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মাহমুদুল হাসান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফতাব উদ্দিন, পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আমিনুল এহসানসহ জামায়েতি ইসলামী ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামী উপজেলার বাহাদুরসাদীর খলাপাড়ায়, প্রতিদিনের ন্যায় গতকালও খাজা মার্কেট এলাকায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ইফতারের পূর্বমুহূর্তে স্থানীয় বিএনপির কর্মী আপেলের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন এসে ইফতার মাহফিলে বাঁধা প্রদান করে এবং বাকবিতন্ডায় জড়ায়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ইফতারের খাবার লাথি মেরে ফেলে দেয় বিএনপি’র এই কর্মী। তখন জামায়াতের কর্মীরা অন্য স্থানে ইফতার ও নামাজ শেষে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বিএনপি কর্মীরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।


সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।