বুধবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

হল ছাড়বেন না কুয়েট শিক্ষার্থীরা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

সংবাদের আলো ডেস্ক: অনির্দিষ্টকালের জন্য আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্বার বাংলা’ ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে শিক্ষার্থীরা, ‘হল ভ্যাকেন্টের নোটিশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘দিয়েছি তো রক্ত আরও দেবো রক্ত’; ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’; ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়; ‘হল ভ্যাকেন্ট মানি না, মানি না মানবো না’ স্লোগান দেন।বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, জুলাই বিপ্লবের পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কুয়েটে হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের ছয় দফা দাবিতে অনড় আছেন। হঠাৎ করে আন্দোলন দমানোর এবং এই আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এবং দীর্ঘায়িত করার জন্য তাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ চলছে। তাদের মধ্যে যে ১৫০ জন আহত হয়েছেন, তাদের খোঁজখবর একবারও কুয়েট প্রশাসন নেয়নি। শিক্ষার্থীদের পাশেও দাঁড়ায়নি। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির প্রতিটি মানতে হবে। বুধবার তারা হল ছাড়বেন না। হল ছাড়তে হলে পুলিশ–আর্মি দিয়ে তাদের রক্তের ওপর দিয়ে হল ছাড়াতে হবে।সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আমলেও বাংলাদেশের সব ভার্সিটিতে হল ভ্যাকেন্ট দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার টিকতে পারে নাই, পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এই বর্জিত ভিসিরও সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে। ওই সময়ে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের কাছে এই হল ভ্যাকেন্ট একটা ‘ফেইল করে যাওয়া ফ্যাসিস্টের ট্যুল’ ছাড়া আর কিছুই না। আমরা ঘৃণভাবে হল ভ্যাকেন্টকে প্রত্যাখ্যান করছি।এর আগে কুয়েটে সব একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় কুয়েট পুরোপুরি বন্ধের ঘোষণা এলো। এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অপর এক সভায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ