বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পায়ে হেটে টেকনাফ টু তেঁতুলিয়া ভ্রমণ করলেন তাহুরা সুলতানা

মো: মনজুরুল হাসান মিলন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পায়ে হেটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণ করলেন তাহুরা সুলতানা নামের ২৫ বছরের এক তরুণী। শুক্রবার (৭ ফেব্রæয়ারি) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টে এসে শেষ করেন টেকনাফ টু তেঁতুলিয়ার ভ্রমন। বিষয়টি ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন এ ভ্রমণকন্যা। জানা যায়, তাহুরা সুলতানা গত বছর ২৯ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৬টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জিরো পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করেন। ৫১ দিন হেটে হেটে তেঁতুলিয়ায় এসে শেষ করলেন ভ্রমণ। পাড়ি দিয়েছেন ১০০১ কিলোমিটার। একা হাঁটা শুরু করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে পথে পথে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই। তাহুরা সুলতানা চট্টগ্রামের বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়নের রশিদ আহমেদ ও তৈয়বা খাতুন দম্পতির মেয়ে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট।চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। তাহুরা সুলতানা জানান, পরিবারে আমি সবার ছোট। ছোট থেকেই ঘোরাঘুরি পছন্দ করি। চ্যালেঞ্জিং কোনো বিষয় গ্রহণ করতে আমার ভালো লাগে। এসব কারণেই হেঁটে দেশভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে যাত্রা শুরু করি। এ সময়ের হাটতে গিয়ে যেখানে বিরতি নিয়েছি সেখানে মানুষের ভালোবাসা ও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় আমি অভিভূত। কেন এই হেটে ভ্রমণ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহুরা বলেন, ‘সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা জরুরি। তাই এই পদযাত্রার মাধ্যমে মানুষও যাতে হাঁটায় উদ্বুদ্ধ হয়, সেটি আমি চাই। একই সাথে হেটে হেটে আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি মানুষকে হাঁটায় উদ্বুদ্ধ করতেই আমার এই যাত্রা। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে এ জার্নির খরচ আমার নিজেরই। বিশেষ করে zoom wild নামে ট্রাভেল এজেন্সি সাথে ট্রাভেলিং এর প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী নিয়ে দোকান আছে। সেইখান থেকে অর্জিত টাকা জমিয়ে আমি এ জার্নি করেছি। বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টের জিরোফলকে পৌছেই তাহুরা বলেন, ১ হাজার কিলোমিটার মাইলফলক শেষ হলো।তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টে এসে। আমি স্পেশাল ধন্যবাদ জানাতে চাই বিজিবিকে, বর্ডার গার্ডকে। আমি আসলে খুব লেটে চলে আসছি, আসলে আমারই এটা মিসটেক। কারন আজকে শেষ করতে গিয়ে আমার সন্ধ্যা ৫টা বা ৬টা হয়ে যায়। সময় শেষ হয়ে  যাওয়ার পরেও আমাকে এখানে আসতে দেয়া হয়েছে। এটার জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ। এ দীর্ঘ জার্নিতে যারা পাশে ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাহুরা বলেন, আমার এ জার্নির সাথে এই মুহুর্তে যারা জড়িত আছে তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ্। সেই সাথে যারা আমার এ জার্নির সাথে ছিল সবার প্রতি আমি খুবই কৃতজ্ঞ ও ভালবাসা সবাইকে। আর আমার পুরো জার্নিতে পুরো বাংলাদেশের ১ হাজার কিলোমিটার হাইকিং, সাথে যমুনা নদী সাতরানো, সাথে হিমালয়ের তিনটা পাহাড়ের যে অর্জনগুলো ছিল এই জায়গায় শেষ হলো। জার্নিটা শেষ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়