নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই দেশের বড় সংস্কার: এমরান সালেহ প্রিন্স
সংবাদের আলো ডেস্ক: একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্টু নির্বাচনই দেশের বড় সংস্কার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, দেশ এখন সংকটময় সময় পার করছে। এ সংকট সমাধানের জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক কমপ্লেক্সে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন। সেমিনার শেষে জিয়াউর রহমানের স্মৃতিকে অমলিন রাখার প্রতীক হিসাবে শিক্ষক কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় নিম গাছ রোপণ করা হয়। সৈয়দ এমরান সালেহ আরও বলেন, বিএনপি একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে বর্তমান সময়ে দলের ওপর নানা চাপ প্রয়োগের অপচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের নীতিনিষ্ঠ অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দিয়েছেন, যা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদের ভোট দিলে অবশ্যই ক্ষমতায় আসব। তবে, এ পথ অত্যন্ত জটিল ও কঠিন।অনুষ্ঠানে বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. হুমায়ুন কবীর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সরকার। সেমিনারে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন।এসময় অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক বলেন, বাকৃবি একসময় আওয়ামী লীগের দুঃশাসন এবং ছাত্রলীগের প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কেন্দ্রস্থল ছিল। আমরা যখন এই ক্যাম্পাসে এসেছিলাম, তখন হলগুলোতে টিকে থাকতে বড় ভাইদের দারস্থ হতে হতো। ২০০৫ সালের পর থেকে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসন প্রত্যক্ষ করেছি। বিগত ১৭ বছরে রাজনীতি যে কতটা কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং পেশা হতে পারে, তা আমরা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুধাবন করি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং চেতনা আমার রক্তের প্রতিটি কণায় প্রবাহিত। তার নীতি ও নেতৃত্ব আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে। তিনি আরও বলেন, সংগঠনের কঠিন সময়ে যারা নিষ্ক্রিয় হয়ে যান, তাদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনী পাঠ করা উচিত। তার সংগ্রামী জীবন থেকে তারা নতুনভাবে অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা পাবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।