যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছেন ফিলিস্তিনিরা
সংবাদের আলো ডেস্ক: এখনও যেন জ্বলছে গাজা, চতুর্দিকে রুক্ষতা। মরু-মানচিত্র জুড়ে রয়েছে ভয়াবহ বিভীষিকার দাগ। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে লাশের গন্ধ, মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য। কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুকিয়ে গেছে; শোকে পাথর গাজা। আর এরই ভিতর ফিলিস্তিনে ১৫ মাসের ইসরায়েলি বর্বরতার পর এলো যুদ্ধবিরতির ঘোষণা। দিবস ও রজনীর কঠিন দিনরাত্রি পাড়ি দিয়ে অবশেষে এসেছে সুখবর। একটু স্বতির খবর আসতেই তাই উচ্ছ্বাস দেখাতে দেরি হয়নি গাজার মানুষের। আনাহার, নিদ্রাক্লান্তি আর মৃত্যুর ফনা তোলা সময়ে বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতার মধ্যে হঠাৎ ঘটেছে তাই গণজাগরণ।
কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বুধবার দোহায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে চুক্তি করেছে হামাস ও নেতানিয়াহু প্রশাসন। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল— মধ্যস্ততাকারীদের এই সুসংবাদ প্রকাশের সাথে সাথে রাস্তায় নামেন গাজাবাসী, পুরো ফিলিস্তিন উপত্যকাজুড়ে চলছে বাসিন্দাদের উল্লাস। দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্লোগান। নেচে গেয়ে দিনটি উপভোগ করছে শিশুরাও। পোড়ানো হচ্ছে আতশবাজিও। তবে আর হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির অধীর অপেক্ষায় সময় কাটছে তাদের পরিবারের সদস্যদের। ইসরায়েলেও দেখা গেছে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে।
এর আগে, বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিষয়টি জানান, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি। ঘোষণায় তিনি বলেছেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি করেছে। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমোদিত চুক্তিটি রোববার থেকে কার্যকর হবে। যদিও কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুদ্ধবিরতির সংবাদ প্রকাশ করে গণমাধ্যমগুলো। মূলত এর পর থেকেই উচ্ছ্বাসে ভেঙে পড়েন ফিলিস্তিনের নাগরিকরা।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।