বুধবার, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এবার ভারত থেকে জ্বালানি কিনছে বাংলাদেশ, খরচ ১১৩৭ কোটি

সংবাদের আলো ডেস্ক: ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকেই শুরু হয় ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন। উভয় দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনাও চলছে। অবশ্য সম্পর্কের এই উত্তেজনা সত্ত্বেও ভারত থেকে ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি অনুমোদিত এক সিদ্ধান্তের আলোকে শিগগিরই ভারত থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সীমান্ত ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার ভেতরেই ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।গত রবিবার বিপিসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। বিপিসি’র বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এই ডিজেল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানি করা হবে এবং এর জন্য বাংলাদেশি টাকা খরচ হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এ বছর বিপিসির পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই সরাসরি আমদানি করা হয়ে থাকে। আর বাকি অংশ স্থানীয় শোধনাগার থেকে পাওয়া যায়। মূলত বিপিসি নিয়মিতভাবে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই তেল ট্রেনে করে বাংলাদেশে আসছে। এর আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন অ-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়