বৃহস্পতিবার, ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

একসময় ইচ্ছে ছিল মডেল হব : রোজা আহমেদ

সংবাদের আলো ডেস্ক: চুপিসারে বিয়ে সেরে নিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। বছরের শুরুতেই এ সুখবরটি প্রকাশ পেয়ে তাহসানের ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে চমক সৃষ্টি করেছে। গণমাধ্যমকে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহসান নিজেই। কোনো ধরনের পূর্বাভাস বা গুঞ্জন ছাড়াই হঠাৎ এই সুখবরটি পাওয়ায় অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে তাহসানের বিয়ে পরিণত হয়েছে টক অব দ্যা কান্ট্রিতে। এদিকে বিয়ের পর তাহসানের নতুন স্ত্রীর পরিচয় জানার কৌতুহল জেঁকে বসেছে সবাইকে। জানা গেছে, বাংলাদেশের বরিশালে বেড়ে ওঠা রোজা আহমেদ পড়াশুনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর। পড়াশোনা শেষ করে কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন। তবে একসময় মডেল হওয়ার স্বপ্নও দেখতেন রোজা। নতুন জীবনের শুরুতেই তাহসানের ‘একা ঘর আমার’ সম্প্রতি রোজা আহমেদের একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে রোজা তার ক্যারিয়ার, পেশা নিয়ে বিস্তর আলাপ করেন। সেখানে তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন ও নেটিজেনদের নানান অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। সে প্রসঙ্গেই আলোচনা করেন রোজা। একটা সময় পর্দায় আসার ইচ্ছে ছিল রোজার। শুধু তাই নয়, জয়া আহসান কিংবা মৌ এর মতো অভিনেত্রীদের সঙ্গেও কাজ করার ইচ্ছে ছিল তার। সাক্ষাৎকারে রোজা বলেন, ‘একসময় ইচ্ছে ছিল মডেল হব, অভিনেত্রী হব।’দুবাইয়ের গোয়েন্দা পুলিশকে বিয়ে করলেন অভিনেত্রী নীলম মুনির অনেক ইনফ্লুয়েন্সার কিংবা ব্র্যান্ড প্রোমোটাররা নাকি ফটোশ্যুটে করেই লাখের মতো পারিশ্রমিক নেন, এছাড়াও মেকআপ আর্টিস্টরাও প্রতি মিনিটে হাজার টাকা পারিশ্রমিক নেন বলেও অভিযোগ উঠে সাক্ষাৎকারে। সেই প্রসঙ্গে রোজা বলেন, ‘আপনারাই তো আমাদের ভ্যালুটা বাড়িয়েছেন। একজন নামী-দামী সেলিব্রেটির কাছে না গিয়ে আপনারা আমাদের কাছে আসছেন। তাদের থেকেও যদি আমরা বেশি চার্জ করি, তারাও আমাদের নিচ্ছেন- আমরা কেন নেব না। এটা একটা ব্যবসা আফটার অল।’ রোজা এও বলেন, ‘সে এটা ডিজার্ভ করে, হয়তো সে জন্য এটা তিনি চার্জ করেছেন।’ বাবাকে নিয়ে তাহসানপত্নীর আবেগঘন স্ট্যাটাস ‘ভাইরাল’ নিজের মেকআপ আর্ট প্রসঙ্গেও বেশ আলাপ করেন রোজা। বলেন, ‘চাই আমার কাজকে সবাই জানবে। আর আমি বেছে কাজ করি; যেহেতু আমি একজন প্রোফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট। তো দেখা যায় আমার ওই কাজটা আগে। ওইটার ওপরে, ওই ক্যাজুয়ালের ওপরে ডিপেন্ড করে ওই ব্রান্ডকে কাজটা দেওয়া হয়। ওরা যখন চায় তখনই করতে হবে, নইলে আমার ওই কাজটা করা হয় না; কাজ হারিয়ে যায়। কিন্তু দিনশেষে এটা নিয়ে আমার আফসোস হয় না; কারণ কাজগুলো আমি শখের বসে করছি।’ রোজার বিজনেস পেজে রয়েছে তার অসংখ্য অনুসারী এবং নেটিজেনদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনি। তার ফেসবুক পেজ “রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার” পেজে অনুসারী সংখ্যা নয় লাখের ওপরে। রোজা আহমেদ ঘোরাফেরা করতেও পছন্দ করেন। দেশে থাকতে বেড়াতে গেছেন সাজেক, নাফাখুম, রাঙামাটিতেও।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়