সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সলঙ্গায় পিঠা বিক্রি করে সংসার চালান আব্বাস ও কহিনুর দম্পতি

মো: আখতার হোসেন হিরন: হেমন্তের শেষে বেশি শীত পড়তে শুরু করেছে। কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার মাঠ-ঘাট, ওলি-গোলি। এতে পরিবেশ বেশ ঠান্ডা হয়ে উঠছে। আর তাইতো শীত বাড়ার সাথে কদর বাড়ছে মুখরোচক খাবার শীতের পিঠার। গ্রাম এলাকায় বাসা-বাড়িতে সকালে এবং সন্ধ্যায় হাট-বাজারে নাস্তায় থাকছে মজার মজার নানা ধরনের পিঠা। শীত এলেই বাংলার গ্রামে-গঞ্জে ধুম পড়ে যায় পিঠা খাওয়ার। এর সঙ্গে মিশে আছে আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় পারিবারিক ও সমাজজীবন থেকে পিঠা তৈরির আয়োজন কমে যাচ্ছে। তবে এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছে মৌসুমী পিঠা ব্যবসায়ীরা। শীতের আমেজ শুরু হতেই সলঙ্গা থানার বিভিন্ন হাট-বাজারে এখন এই শীতে পিঠা ব্যবসায়ীদের পিঠা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। বিকাল থেকে পিঠা কেনাবেচা শুরু হলেও সন্ধ্যা থেকে জমে উঠে এসব পিঠার দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সেখানে ভিড় জমছে মানুষের। ভাপা, চিতই, চাপটি, পাটিসাপটার মতো পিঠার স্বাদ উপভোগ করা যাচ্ছে এই দোকানগুলোতে। এসব দোকানে কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকেরা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছেন। এই পিঠার স্বাদ পেতে রিকশা-চালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার দোকানে ভিড় করছে। আবার কেউ কেউ বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের জন্যও পিঠা কিনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। পিঠা ব্যবসায়ীরা এসব পিঠার মধ্যে ভাপা ও চিতই এবং তৈল পিঠা ১০ টাকায় বিক্রি করছে। পিঠা খেতে আসা সলঙ্গা থানার পুলিশ সদস্য নয়ন হোসেন তার ছেলে আমমান (৬) এবং শিক্ষার্থী মারুফ হাসানসহ অনেকে বলেন, শীতের সময় চিতই, ভাপা পিঠা খেতে ভালো লাগে। শীতের সময় পিঠা খেতে অন্যরকম একটা অনুভূতি লাগে। আগের মতো বাড়িতে আর পিঠা তৈরি করা হয় না। এ জন্য মাঝেমধ্যে এসে পিঠা কিনে খাই এবং পরিবারের জন্য নিয়ে যাই।  সলঙ্গা থানামোড়ে গড়ে ওঠা পিঠা বিক্রেতা আব্বাস ও তার স্ত্রী কহিনুর খাতুন বলেন, বছরের এই সময়ে শীতের পিঠা বেশি বিক্রি হয়। বর্তমানে চিতই ও ভাপা পিঠা তৈরি করছি। এই ব্যবসায় আগে ভালো লাভ পাওয়া গেলেও এখন সবকিছুর দাম অতিরিক্ত হওয়ায় লাভ তেমন নেই। তবে যা উপার্জন করি তা দিয়ে টেনেটুনে সংসার চালাই। সলঙ্গা বাজারের আছিয়া বছির মেডিকেল সেন্টার এর ঔষধ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম পিঠা খেতে এসে বলেন, আমি প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এসব দোকান থেকে পিঠা খাই। আগে যদিও বাড়িতে এসব পিঠা বানানোর হিড়িক পড়তো এখন তা আর দেখা যায় না। শীতের সঙ্গে পিঠার যে একটা নিবিড় সম্পর্ক তা ভাপা ও চিতল পিঠা খাওয়ার মধ্যেই বোঝা যায়। আর বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে তা খেতে মজাই আলাদা। প্রায় দিনই তিনি পিঠা খান বলে এই জানান।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়