সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

হাসিনা যা লুট করে নিয়ে গেছে তা দিয়ে একশটি পদ্মাসেতু তৈরী করা যেত – টুকু

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শেখ হাসিনা আইন, বিচার, পুলিশ প্রশাসনসহ সব সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। হাসিনা যে পরিমান টাকা লুট করে নিয়ে গেছে তা দিয়ে একশটি পদ্মাসেতু তৈরী করা যেত। আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কোনাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কামারখন্দ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, হাসিনার আমলে কোন আইনের শাসন ছিল না। বিএনপির কোন নেতাকর্মী হামলা-খুনের শিকার হলেও মামলা নিতো না। এমনকি সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদ বারবার হামলার শিকার হলেও কোন মামলা নেয়া হয়নি। আবার এখন পুলিশ বলছে, আইন মেনে সব কিছু করতে হবে। পুলিশ এমন আচরন করলে জনগন উপযুক্ত জবাব দিবে। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের যেসকল নেতাকর্মী অপকর্ম, লুটপাট ও খুনের সাথে জড়িত তাদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। বিচার থেকে কেউ রক্ষা পাবে না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনো দেশে আওয়ামী লীগ রয়েছে। আপনাদের মুখরোচক কথা বলে মিলতাল দিয়ে থাকবে। কিন্তু আপনার তাদের কথায় ভুলবেন না, আওয়ামীলীগ থেকে সজাগ থাকবেন। তিনি বলেন, ৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ দেশকে ধ্বংসস্তুপে পরিনত করেছিল। এরপর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের হাল ধরে বিশে^র মানচিত্রে একটি সবুজ-শ্যামলা উন্নয়ন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিল। আবার শেখ হাসিনা ২০০৮ সাল থেকে বিগত ১৬ বছরে লুটপাট ও দুর্নীতি, সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে কায়েম করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। ধ্বংস্তপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে পুনর্জীবিত করতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। এই ৩১ দফায় জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশের সকল সেক্টরে উন্নয়ন করে জনগনের অধিকার নিশ্চিত করে আবারো একটি সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার দিবে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতি আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক ভিপি শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, যুবদলের সভাপতি মির্জা বাবু প্রমুখ। সভায় বিপুল সংখ্যক জনতা অংশগ্রহন করেন। সমাবেশ শেষে বিজয় দিবসের সমাবেশের সকল নেতাকর্মী ও জনতার মাঝে খিচুরি বিতরন করা হয়।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়