নানা বিধি-নিষেধে সেন্টমার্টিনে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে পর্যটক সংখ্যা
সংবাদের আলো ডেস্ক:সমুদ্রের বুক চিরে হামাগুড়ি দিয়ে উঠে আসা লাল টুকটুকে সূর্য কিংবা দিন শেষে সমুদ্রের বুকে হারিয়ে যাওয়া গোধূলীর মোহনীয় রূপ। পর্যটন গন্তব্য হিসেবে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন সৌন্দর্য পিপাসুদের পছন্দের শীর্ষে। তবে এবার এই চিত্র কিছুটা ভিন্ন। পর্যটনের ভরা মৌসুমেও সেন্টমার্টিনের বেশিরভাগ রিসোর্ট আর কটেজ একেবারেই খালি। কেউ বুকিং পেয়েছেন একটি বা দু’টি, কেউ কেউ তাও পাননি। প্রতিদিন গড়ে দ্বীপটি ভ্রমণ করছেন মাত্র ৮ থেকে ১ হাজার পর্যটক। একজন রিসোর্ট মালিক বলেন, প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৭শ’ মানুষ আসছে। চালান উঠবে কি না তাই নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। এভাবে কোন ব্যবসাই টিকবে না। অথচ অন্যান্য বছর এ সময়ে প্রতিদিন সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতেন অন্তত ৫ থেকে ৬ হাজার পর্যটক। এবার পর্যটক ভ্রমণের এ সংখ্যা ২ হাজার নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ফলে পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও মুখে হাসি ফুটেনি স্থানীয়দের।এক সময় সাগরে মাছ ধরাই ছিল দ্বীপের বাসিন্দাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। পর্যটনের প্রসারে এখন দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দার সবাই নির্ভরশীল এই শিল্পের উপর। সরকারের এই বিধি-নিষেধে জীবিকায় টান পড়বে, বলছেন তারা। আগে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করা যেত অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পর্যটকরা দ্বীপটিতে যেতে পারবেন ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি- এ দু’মাস। রাত্রি যাপন করতে পারছেন মাত্র ২ দিন। যা নিয়ে আপত্তি পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টদের। সেন্টমার্টিন পর্যটন ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেছেন, কর্মসংস্থান বা বিকল্প কোন কিছু না করে কীভাবে পর্যটন বন্ধ করে দেবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় যেসব সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে, সেগুলো দ্বীপবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা এখন ১০ থেকে ১২ হাজার। কিন্তু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দ্বীপটির পর্যটনের সাথে জড়িয়ে আছেন লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।