পণ্য আমদানিতে ভারতের বিকল্প দেশ খুঁজছে সরকার
সংবাদের আলো ডেস্ক: বর্তমানে ভারত ও মিয়ানমার এ দুই দেশ থেকে পেঁয়াজ বেশি আমদানি হচ্ছে। পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে পাকিস্তান, চীন ও তুরস্ক থেকেও আমদানি হচ্ছে। আর আলু আমদানি হচ্ছে শুধু ভারত থেকে। এক্ষেত্রে আলু আমদানিতে জার্মান, মিশর, চীন ও স্পেনের কথা বলা হয়েছে বিটিটিসির প্রতিবেদনে।
আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ভারত থেকে অনেক পণ্যের আমদানি বিঘ্নিত হওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ও দীর্ঘদিনের এই নির্ভরতা কাটাতে নিত্যপণ্য আমদানিতে বিকল্প দেশের সন্ধান করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
একক উৎস ও একক দেশের ওপর নির্ভরতা কাটাতে বিকল্প দেশ খোঁজার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনও (বিটিটিসি)। ইতোমধ্যে বিটিটিসি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। সেখানে ভারতের পাশাপাশি আরও কিছু দেশ চিহ্নিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে ভারত ও মিয়ানমার এ দুই দেশ থেকে পেঁয়াজ বেশি আমদানি হচ্ছে। পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে পাকিস্তান, চীন ও তুরস্ক থেকেও আমদানি হচ্ছে। আর আলু আমদানি হচ্ছে শুধু ভারত থেকে। এক্ষেত্রে আলু আমদানিতে জার্মান, মিশর, চীন ও স্পেনের কথা বলা হয়েছে বিটিটিসির প্রতিবেদনে। আর চীন, পাকিস্তান ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা বলা হয়েছে।
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহযোগিতায় খেজুর, চিনি, সয়াবিন তেল, ডিমসহ আরও কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমানো হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, এটা মেনে নিয়েই শুধু পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা আনতে এসব শুল্ক কমানো হয়েছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।